আবু সাঈদ খান : আইনের দরকার আছে। কোথায় কি ঘটছে, না ঘটছে এগুলো নজরদারি করার জন্য আইনের প্রয়োজন। তবে বাস্তবতা হচ্ছেÑ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা আছে। সেই সাথে এই আইনের মাঝে বেশ কিছু ত্রুটি আছে। যার ফলে এটার অপব্যাবহারের হতে পারে। সংশোধনের জন্য আমরা নয়টি যায়গা চিহ্নিত করেছি। পুলিশের হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ আছে। এটা আসলে গণতন্ত্রের জন্যও ভালো না। এমনকি কোনটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, আর কোনটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে, এই বিষয়টিও পুলিশ ঠিক করবে। এটা ঠিক হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ একটা প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। গবেষণা করে অনেক কিছু বের করে নিয়ে আসতে হয়। এখানে যদি পুলিশের খবরদারি থাকে, তাহলে গবেষণার যায়গাটাও ক্ষতির মুখে পড়বে। সবকিছু মিলিয়েÑসংবাদপত্রের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গবেষণার সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়বে। এর মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র পুষ্ট হবে না। প্রয়োজনে আইনের দরকার আছে, তবে নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়।
আবার সম্প্রচার আইনের কথা যদি বলি তাহলে বলতে হবেÑগণমাধ্যম কর্মীদের সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে, যেগুলো যৌক্তিক। কিন্তু এখানেও অপব্যাবহারের সুযোগ রয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা আছে। সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধ করা নয়, সচল রাখাটাই জরুরি। গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য মঙ্গলজনক।
পরিচিতি : সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট/মতামত গ্রহণ : লিয়ন মীর/সম্পাদনা : রেজাউল আহসান
আপনার মতামত লিখুন :