মো. জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিখখালী ইউনিয়ন পরিষদে ইলিশ রক্ষায় বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ করেছে চাল পাওয়া জেলেরা। জেলেদের অভিযোগ ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ১৬ কেজি চাল দিয়ে অবশিষ্ট চাল চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। ওজনে চাল কম দেয়া এবং নিবন্ধনকৃত জেলেদের চাল না দেয়ার জেলেদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নে ৫০৬ জন নিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছে। ওই জেলেদের নামে ইলিশ রক্ষায় বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ হয়। শুক্রবার বিকেলে ওই জেলেদের মাঝে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার বাদশা তালুকদার চাল বিতরণ করেন। প্রতি জেলে ২০ কেজি করে চাল পাবে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ওজনে ২০ কেজির পরিবর্তে সাড়ে ১৬ কেজি করে বিতরণ করেছে। জেলেদের ওজনে চাল কম দিয়ে প্রায় ২ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এদিকে অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে তার স্বজনদের জেলে সাজিয়ে চাল বিতরণ করেছেন। চাল বিতরনকালে অনেক জেলে নিবন্ধন কার্ড নিয়ে আসলেও তাদের চাল দেয়নি। এতে জেলেদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জেলে মোঃ আল আমিন, নুরুল ইসলাম, মিজানুর, হেমায়েত ও মুছা শিকদার জানান, ৫০ কেজির একটি বস্তা তিনজন জেলেকে দিয়েছে। যেখানে পাওয়ার কথা ৬০ কেজি। অবশিষ্ট চাল চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আত্মসাত করেছে।
নিবন্ধনকৃত জেলে সহিদ, মিলন, মালেক ও খোকন জানান, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মৃত ব্যাক্তি, জেলে পেশায় নেই এমন লোকের মাঝে চাল বিতরন করেছি, কিন্তু আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও চাল দেয়নি।
চাল বিতরণের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিপন মণ্ডল বলেন, চাল বিতরণকালে আমার উপস্থিত থাকার কথা কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে অবহিত না করে চাল বিতরণ করেছেন।
শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাসার বাদশা তালুকদার বলেন, চাল কম দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ১২’শত আমি চাল পেয়েছি ৫০৬ জন নামের আমি কি করবো। তিনি আরো বলেন গোডাউন থেকে চাল কম দেয়। ওই চাল আমাকে পুষিয়ে দিতে হয়।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই, তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো। চাল কম দেয়ার বিষয়টির প্রমান পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :