আব্দুর রাজ্জাক: সৌদি ভিন্নমতালম্বী সাংবাদিক জামাল আহমেদ খাসোগজি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কনস্যুলেটের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে অন্তত ৫জন কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আরো ১৮জনকে আটক করা হয়েছে। রিয়াদের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলেও জানানো হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, খাসোগজি নিহত হওয়ার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সৌদির ডেপুটি গোয়েন্দা প্রধান আহমেদ আল-নাসিরি ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের জ্যেষ্ঠ সহকারি সৌদ আল-কাহতানিকেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি গোয়েন্দা বাহিনীকে আবার ঢেলে সাঁজানোর জন্য বিন সালমানকে প্রধান করে নতুন একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার আগে সৌদি বাদশা সালমান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সাথে ফোনে কথা বলেছেন এমনকি তাদের তদন্ত প্রতিবেদনকেও অনুসরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে খাসোগজিকে হত্যার দায় স্বীকার নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকের সাথে যা ঘটেছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সৌদি আমাদের ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ট মিত্র ছিল। তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছিল তবে হত্যাকা- নিয়ে তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য তাদের ধন্যবাদ। এই ঘটনাটি মার্কিন অর্থনীতিতেও মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে পারত।’ বিবিসি, রয়টার্স, ইয়ন
আপনার মতামত লিখুন :