শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:৩১ সকাল
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যারিস্টার মইনুলের অতীত ও বর্তমান

উল্লাস মূর্তজা : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কারাগারে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তখনকার উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল মতিন।

শেখ হাসিনাকে আর্সেনিক জাতীয় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। আর এতে সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান ও ডিআইজি প্রিজন্স মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। শেখ হাসিনাকে হত্যা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশ্নে ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেছিলেন, ‘তিনি তখনই মামলা করতে চেয়েছিলেন, এখন সরকার সিদ্ধান্ত নেবেন।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে একজন সাংবাদিক বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের গ্রেফতার বিষয়ে জানতে চাইলে এবং তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছিলেন, ‘মির্জা আব্বাস কীসের রাজনীতিবিদ? সে তো একজন বাস ড্রাইভার। একজন বাস ড্রাইভারও যদি বাংলাদেশে রাজনীতিবিদ হয়, তাহলে সেই রাজনীতির কী অবস্থা হয় আপনারাই বোঝেন।’

মির্জা আব্বাস সম্পর্কে ব্যারিস্টার মইনুলের এই মন্তব্য ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল। অথচ আজকে মির্জা আব্বাসের দল বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন ব্যারিস্টার মইনুল।

এর আগেও তিনি জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আদর্শিকভাবে তিনি শিবিরের অনুষ্ঠানে কোন মতাদর্শে যোগ দিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ২০০৫ সালে শিবিরের এক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে শিবিরের আদর্শিক বিষয়গুলোর সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ করেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম। তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন। এখনো তিনি বিএনপি এবং জামায়াতের মতাদর্শের সঙ্গে একাত্নতা পোষণ করে চলছেন।

শিবিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাদের আদর্শের সঙ্গে একই সুরে কথা বলে ব্যারিস্টার মইনুল ইসলামের বক্তব্য দেওয়াকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তার আদর্শিক সমস্যা থাকার কারণে এবং ক্ষমতার লোভেই তিনি এমন কথা বলতে পেরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দল হিসাবে পরিচিত জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অবশ্যই তার আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি যেকোনো মূল্যে আবারো ক্ষমতার স্বাদ পেতে চান, তাই তিনি উন্মাদ হয়ে গেছেন। একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী হিসাবে তিনি দেশ বিরোধীদের সঙ্গে আতাঁত না করলেও পারতেন বলে অনেকেই মনে করেন।

যিনি জামায়াত ইসলামীর সংগঠন শিবিরের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, তাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। শিবিরের আদর্শিক বিষয়গুলোর সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ করেন, তাকে জামায়াত ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না প্রশ্ন করাটা নিশ্চয়ই শিষ্ঠাচার বহির্ভুত নয়।

সবশেষ ‘৭১ টিভি’র ‘টক শো’তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টনেতা ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন ‘আমাদের নতুন সময়’এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কলামিস্ট সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে লক্ষ্যকরে আপত্তিকর মন্তব্য করায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তিনি ঐ সাংবাদিককে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেন এবং পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনি কোন দলে?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়