আমাদের সময় : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সাড়ে তিন লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে গায়েবি ও ভুতুড়ে মামলায়। এটা নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক করার জন্য না নষ্ট করার জন্য করা হয়েছে? দেশের মানুষ এটা বোঝে, সরকার সুষ্ঠুনির্বাচন চায় না।
গতকাল দুপুরে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনই সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এ আলোচনাসভা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মওদুদ আহমদ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে আঁতে ঘা লেগেছে সরকারের। এটা কী করে সম্ভব হলো। এই ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকারকে বিচলিত দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে তারা এটাই প্রমাণ করেছে এ ফ্রন্টকে তারা ভয় পান, জাতীয় ঐক্যকে ভয় পান, দেশের মানুষকে ভয় পান। এই ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয় হবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে কোনো লাভ হবে না। দেশের মানুষ আজকে যদি গ্রাম-গঞ্জে যান দেখবেন তারা একটা কথাই বললেই ঐক্য হয়ে গেছে।
মওদুদ বলেন, দেশে আগামীতে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। দেখবেন তাই হবে। তার ভয়েই তারা (সরকার) সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না। আর মাত্র তিন মাসও নেই। কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বোঝা যায়, তারা কতটুকু ভীত। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তারা রাখছে না। এককভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্য হিসেবেই তারা কাজ করছেন।
সম্প্রচার আইনের নীতিমালা সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইন এ দুটি আইন করেছে। কেন এত বছর করেনি? এখন কেন করছে? উদ্দেশ্য গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের আতঙ্কিত করেছে। এ আইনের ধারাগুলো ভয়ঙ্কর, এই আইনে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এখন আবার করা হয়েছে সম্প্রচার নীতি। এটা অসম্ভব ধরনের নিবর্তনমূলক আইন। এ দুটি আইন করা হয়েছে নির্বাচনের আগে সরকারের যাতে কেনো সমালোচনা করতে না পারে। শুধু সরকারের উন্নয়ন গান যেন গাইতে পারে সে জন্য এই নীতিমালা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :