বাংলা নিউজ : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নাজমুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন আবাসিক হলের ২২৯ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নাজমুল সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
সহপাঠীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাজমুল হাসান তার বন্ধু নাদিম, সাগর ও আব্দুল্লাহসহ ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হয়। রুমে ফিরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাজমুল তার বন্ধুদের নিজ কক্ষে (২২৯ নম্বর) ডাকেন।এসময় তার বন্ধুরা কক্ষের সামনে গেলে দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির একপর্যায়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে কক্ষের ভেতরে নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহপাঠীরা আরও জানান, ‘নাজমুল হাইপ্রেশার, শ্বাসকষ্ট ও চোখের সমস্যাসহ বেশকিছু রোগে ভুগছিলেন। এ নিয়ে তিনি হতাশ ছিলেন। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা সহপাঠীদের।
কর্তব্যবরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন,‘চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসার আগেই নাজমুলের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে নাজমুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে নাজমুল তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি খেলা ছিলো ‘একটা রিকশা চাই, শৈশব ও কৈশোর ফিরে যাবার জন্য।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন,‘আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষ ও মরদেহ পর্যক্ষেণ করা হয়েছে। মরদেহটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :