নূর মাজিদ : আগামী কয়েক বছরের ভেতর চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ইস্যুতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মাঝে একটি জরিপ পরিচালনা করে এই তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বার্তা সংস্থাটির জরিপে অধিকাংশ খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদগণ এমন অভিমত দিয়েছেন। তারা জানান, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও আগামী বছর তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমবে। গত ১০ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১০০ জন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি বিশেষজ্ঞের মাঝে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। যা গতকাল শুক্রবার প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছেন, আগামী বছর আরও তিন দফায় সুদের হার বাড়াবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। এই বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও একই রকম পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি তুলনামূলক চাঙ্গা রয়েছে, যার পেছনে রয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধি এবং ট্রা¤েপর কর রেয়াত। তবে আগামী অর্থবছরের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকেই এই সিদ্ধান্তগুলোর প্রভাব কমতে শুরু করবে মার্কিন অর্থনীতিতে। অর্থনীতিবিদেরা জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে। একই সময় বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে উঠবে।
ইতোমধ্যেই মার্কিন অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার কমে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যার আওতায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসে। এছাড়াও চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে ২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে। তবে ২০১৯ সালের শেষে মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসার সম্ভবনা রয়েছে। এসব কারণেই যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে আরও চীনা পন্যে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করবে।
এই বিষয়ে অর্থনীতিবিদ জেমস নাইটলি বলেন, পুরো ২০১৯ সাল জুড়েই মার্কিন সরকারের গৃহীত অর্থনৈতিক প্রণোদনার প্রভাব কমবে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি দ্রুত বর্ধনশীল উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে মার্কিন পন্যের প্রবেশে বাড়তি বাঁধা হিসেবে কাজ করবে। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :