শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না,সাতক্ষীরা: যাত্রামঙ্গলের জন্য আজ শুক্রবার সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপচে পড়া ভীড়। এর পরপরই ফুল, বেলপাতা, ধান ও দুর্বা দিয়ে চলে অঞ্জলী। ভক্তরা তাদের কামনা বাসনা পুরণের জন্য মায়ের পায়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেয়। দুপুরে দর্পণ বিসর্জনের আগেই ঢাক, ঢোল আর কাশীর বাজনায় ফুটে ওঠে মা দুর্গার বিদায়ী বার্তা। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’ এ বাজনায় ভক্তদের মনে বিষাদের ছায়া নেমে আসে। বিকেলে মায়েরা একে অপরের কপালে সিন্দুর রাঙানোর মাধ্যম্যে শুরু হয় বিসর্জন যাত্রা। কোথাও নদী, কোথাও দীঘি আবার কোথাও পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় শেষ হয়েছে পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপুজা।
তবে শারদীয় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে মিলন মেলা না হলেও
আজ শুক্রবার বিকেলে দেবহাটা সীমান্তের ইছামতী নদীতে ভারত ও বাংলাদেশের পরে নিজ নিজ এলাকায় নৌকায় করে প্রতিমার শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ দৃশ্য উপভোগ করতে দুই দেশের নদীর তীরে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়। তবে বিএসএফ ও বিজিবি কড়া সতর্ক অবস্থানে থাকায় এক দেশের নৌকা থেকে অন্য দেশের নৌকায় কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। কেউ পারেননি সীমান্ত অতিক্রম করে অন্য দেশের ভুমিতে অনুপ্রবেশ করতে।
এদিকে পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে প্রতিমা বিসর্জন হবে সোমবার (২১অক্টবর)। নবদুর্গাসহ তৈরি ২৩০টি প্রতিমা দেখতে দর্শণার্থীদের বাড়তি সুযোগ দিতে প্রচলিত রীতি নীতি না মেনেই পূজা পরিচালনা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সোমবার পর্যন্ত মন্দির কমিটির লোকজন ও আনছার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পূজা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ব্যানার্জী।
প্রসঙ্গত, এবার জেলায় ৫৭৬ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পূজা শুরুর পর থেকে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :