শিরোনাম
◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:৩৭ সকাল
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণমাধ্যম কর্মীরা শ্রমিক নয়  

জুয়েল খান : সবধরনের গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য চাকরির শর্তাবলী ঠিক করে, গণমাধ্যম কর্মী আইন ২০১৮ খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে সরকার। সাংবাদিকদেরকে আগের মত শ্রমিক নয়, গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে এই আইনে।

এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আসবে গণমাধ্যম অঙ্গনে। এই আইনের মাধ্যমে একজন সাংবাদিক এবং গনমাধ্যমের মালিকের মধ্যে মনিব-ভৃত্যের সম্পর্ক থাকবে না। কর্মচারি এবং ম্যানেজমেন্টের সম্পক তৈরি হবে।

আইনের খসড়ায় যে ৩৬ ঘন্টা কাজ করার কথা বলা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যদি নুন্যতম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে অধিকাংশ গণমাধ্যমই নতুন এই আইনের শর্তগুলো পূরণ করতে পারবে। কোন গণমাধ্যমকর্মী যদি মন থেকে ৩৬ ঘণ্টা কার করে তাহলে তাকে আর কাজ করার প্রয়জন হয় না। এই আইনের মাধ্যমে অন্তত গণমাধ্যমের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পথটা খুললো। সূত্র: ডিবিসি

তিনি বলেন, এই আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রথম শর্ত হলো সংবাদকর্মীকে অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার দিতে হবে। তবে এই অ্যাপয়েনমেন্ট এর  ক্ষেত্রে ওই সাংবাদিককে অবশ্যই তার যোগ্যতার পরীক্ষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। তিনি বলেন যে, কোন সাংবাদিককে নিয়োগের পরীক্ষার সময় বাংলাদেশে সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের সামনে পরীক্ষা নেওয়া হলে তারাই বুঝবেন যে ওই সাংবাদিককে কি ওয়েজ বোর্ডের সুবিধা দেওয়া উচিৎ কি না? কারণ ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আসার মত দক্ষ সাংবাদিকের সংখ্যা খুবই সীমিত। একেবারে অযোগ্য কোন ব্যক্তিকে, কোন ভাবেই ওয়েজ বোর্ডের আওতায় বেতন দেওয়াটা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে কার্ডধারী সাংবাদিকের সংখ্যাও অনেক কমে যাবে।

তিনি জানান, আইনটির ফলে অনেক গণমাধ্যম যেমন ঝড়ে পড়বে তেমনি, যারা সক্ষমতার বিচারে টিকতে পারবে তারা বর্তমান অবস্থান থেকে অনেক ভালো করবে। শুধুমাত্র ঢাকা শহরে ২ শতাধিকের বেশি সংবাদপত্র আছে। এগুলোর অধিকাংশ সংবাদপত্রের মাপকাঠিকে টিকতে পারবে না। এগুলোর মধ্য থেকে যদি ৫০ টার মত সংবাদপত্র থাকে তাহলে তারা তাদের বর্তমান অবস্থার থেকে অনেক  ভালো করা সম্ভব। কারণ নবম ওয়েজ বোর্ডে যে বিজ্ঞাপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা বাস্তবায়ন হলে সংবাদপত্র ভালোভাবেই টিকে থাকতে পারবে। তবে সাংবাদিক নেতা, সরকার এবং মালিকপক্ষ যদি আন্তরিকভাবে কাজ করে তাহলে আগামী এক বছরের মধ্যে এই  আইন বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি মনে করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়