শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেনেগালে শিক্ষকদের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা

মানবজমিন : সেনেগালের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেধিয়োউর-এর বাসিন্দা ফান্তা। সে যখন ১৬ বছরের বালিকা তখনই তার ৩০ বছর বয়স্ক শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়। এর এক বছরের মাথায় ফান্তা বুঝতে পারে সে গর্ভবতী। তার পিতা ওই শিক্ষককে এর দায় নেয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু সব কিছু অস্বীকার করে ওই শিক্ষক। গর্ভবতী হওয়ার কারণে বর্তমানে ফান্তার পড়াশুনা বন্ধ।
সেনেগালের অনেক মেয়ের মধ্যে একজন এই ফান্তা যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তারা তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে যৌন সমপর্ক স্থাপনে বাধ্য হয়েছে। সংস্থাটিকে ফান্তা বলেছে, এ জন্য আমাকে সহপাঠীদের সামনে অপদস্থ হতে হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেনেগালের মাধ্যমিক স্কুলগুলোর অনেক শিক্ষক তাদের ছাত্রীদের যৌন সমপর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করছে। এ জন্য তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল, খাবার, মোবাইল ফোন ও নতুন জামাকাপড়ের লোভ দেখায়। তাদের যৌন লালসার শিকার হওয়া ছাত্রীদের বয়স গড়ে ১৬ বছরের আশেপাশে। ১৬ বছর বয়সের আইসাতু এইচআরডব্লিউকে জানিয়েছে তার শিক্ষক তাকে প্রলুব্ধ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেত। সে যৌন সমপর্ক স্থাপনে অস্বীকার করলে তাকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করার হুমকি দেয়া হয়। এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, সেনেগালে যেসব ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ছে তাদের বেশিরভাগই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষকদের যৌন লালসার শিকার ও লিঙ্গভিত্তিক হিংস্রতা দেশটির জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা। সেনেগালের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন ছাত্রী গর্ভধারণের জন্য তার শিক্ষকদের দায়ী করেছে। এ বিষয়ে সিএনএন সেনেগালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে দেশটির সরকার শিশুদের বিভিন্ন ধরনের হিংস্রতা থেকে রক্ষা করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে। ২০১৩ সালে সরকার শিশুদের মানসিক বা শারীরিক ও যৌন নির্যাতন রোধে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে। দেশটির আইন অনুযায়ী কোনো শিক্ষক যদি তার ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সমপর্ক স্থাপন করে তবে তাকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি এনজিওগুলোর সঙ্গে কিশোরী গর্ভধারণ রোধেও কাজ করে যাচ্ছে সেনেগাল। কিন্তু এখনো যৌন নির্যাতন দেশটির অন্যতম প্রধান সমস্যা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়