শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:১৯ সকাল
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ০৬:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রামায়ণের বঙ্গানুবাদ বাংলাভাষী হিন্দুদের মাঝে দুর্গার মহাত্ন ছড়িয়ে দেয়

অনলাইন ডেস্ক: সংস্কৃত ভাষায় রচিত রামায়ণে দুর্গা পূজার কোন উল্লেখ ছিলো না। কিন্তু রামায়ণ যখন বাংলা ভাষায় অনুদিত হলো মূলত তখন থেকেই দেবী হিসেবে দুর্গার মহাত্ম বাংলা ভাষী হিন্দুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবার কাছে দুর্গা পূজা প্রধান ধর্মীয় উৎসব নয়। মূলত বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিম বাংলার বাংলা ভাষাভাষী হিন্দুদের মধ্যেই এটি সবচেয়ে বেশি আনুষ্ঠানিকতা এবং আড়ম্বরের সাথে পালিত হয়। এছাড়া হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালেও এটিই সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, "ছয়শো বছর আগে কৃত্তিবাস ওঝা যখন রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেন, তখন লোকায়ত গল্পে যেখানে দুর্গার কাহিনী প্রচলিত ছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। এরপর যেহেতু বাঙ্গালী বাংলা ভাষায় রামায়ণ পেল, এবং সেখানে দেখল দুর্গার সাহায্যে রামচন্দ্র রাবণকে বধ করতে পারে, তাহলে সে আমারো প্রাত্যহিক প্রয়োজনে কাজে আসবে।" এই ভাবেই দুর্গা প্রধানতম দেবী হিসেবে আবির্ভূত হন বাঙ্গালী হিন্দুদের কাছে। কিন্তু এরপরও প্রধান ধর্মীয় উৎসব হয়ে উঠতে দুর্গা পূজার সময় লেগেছে আরো কয়েক শো বছর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজীন হুদা বলছেন, “মূলত ব্রিটিশ শাসনের সময় হিন্দু এলিট ও জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে দুর্গা পূজা। হিন্দুদের মধ্যে যে শ্রেনীভাগ ছিল, সেটা নিয়ে তখন অনেক সামাজিক সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। যে কারণে তখন হিন্দু ধর্মকে সংশোধন করার দরকার হয়েছিলো। তখন বাংলার এলিট শ্রেণী দেখলো যে এমন একটা শক্তির দরকার, যাকে সবাই মেনে নেবে। সেসময় দুর্গা পূজা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর একটা কারণ ছিল, দূর্গার মাতৃরূপ।” দুর্গা পূজা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আরেকটি কারণ বাংলায় তখনো মার্তৃতান্ত্রিক পরিবারের প্রাধান্য ছিলো এমনটা মনে করেণ অধ্যাপক হুদা।ফলে দ্রুত বাঙ্গালী হিন্দুরা সেটি মেনে নেয়, এবং ক্রমে অন্য দেব দেবীর পূজাকে ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে দুর্গার পূজা।

তিনি আরও বলেছেন, “স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত থাকার কারণেই স্থানীয় জমিদার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রজাকে খুশী করার একটা চেষ্টা ছিল, যে কারণে দূর্গা পূজায় আড়ম্বরের মাত্রা বেড়েছিলো। এছাড়া দুর্গা পূজার সময় হিসেবে শরৎকালকে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল, যেহেতু এটা কিছুটা অঞ্চলভিত্তিক পূজা ছিল, ঐ সময়টাতে বৃষ্টি তেমন হয় না। তাছাড়া এটা নবান্নের সময়। এ সময় ধান ও অন্যান্য শস্য উঠত। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকত। ফলে মানুষ আনন্দ করতে পারতো। (সূত্র: বিবিসি)

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়