আসিফুজ্জামান পৃথিল : জোড়পূর্বক কাজ করার জন্য বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা কিশোরিদের। এই রোহিঙ্গারাই এখন বিশ্বের সবচাইতে বড় নারী পাচারের শিকার। এ অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
মঙ্গলবার সংস্থাটি জানিয়েছে অর্থ আয়ের জন্য মরিয়া পরিবারগুলো নিজেদের কিশোরি কণ্যাদের কাজের জন্য বিপজ্জনক সব পরিবেশে পাঠাচ্ছে। আইওএম আরো জানিয়েছে যে সকল কিশোরিদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের দুই-তৃতিয়াংশ পাচ্ছে সংস্থাটির সহায়তা। এদের মধ্যে ১০ শতাংশ কিশোরি যৌন সহিংশতার শিকার হয়েছে। তারা আরো জানিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উন্নত জীবনের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাজে নেয়া হয়। মেয়েরা এ কাজের ঝুঁকি সম্পর্কে মোটেও সচেতন নয়, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে পালাতেও অক্ষম।
কক্সবাজারে আইওএম এর নিরাপত্তা প্রধান ডিনা পারমার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পরিবারগুলো পুরো পরিবারের সাচ্ছন্দ্যের জন্য একজন সদস্যকে বলি দিচ্ছে।’ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে ২০১৭ সালের আগস্টে সংকট শুরুর পর থেকে তারা পাচারের সময় পালিয়ে আসা শতাধিক নারী শরণার্থীকে সহায়তা দিয়েছে। তাদের শারিরিক এবং মানষিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাদের আইনি সহায়তা এবং আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালে কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে ২৫ আগস্ট ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই অভিযানকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এ সময় প্রায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশে আগে থেকেই আরো প্রায় ৩ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছিলো। ফার্স্টপোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :