মো.এনামুল হক এনা : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হাসান শিকদারের অভিনব কর্মকান্ডে প্রশংসায় ভাসছে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ।
পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তায় যে মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ছিলো সেটি বেহাল দশায় পড়েছিলো প্রায় বহুদিন যাবৎ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানার ফেস্টুনের জন্য লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলো মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যটি।
দীর্ঘদিন যাবৎ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যটি বিভিন্ন ব্যানারের কারণে দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকায়, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান শিকদার নিজ হাতে ভাস্কর্যটির উপরে উঠে সমস্ত ব্যানার ফেস্টুন অপসারন করেন। ফলে দীর্ঘদিন পরে হাফ ছেরে বাচঁলো মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যটি।
এ ব্যাপারে হাসান শিকদার আমাদের সময়.কমকে বলেন, আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের নির্দেশে প্রতিনিয়ত দেশের তরে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর তরে কাজ করে যাবো। আমরা গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবো। আমরা এমন এমন কাজ করতে চাই, যাতে করে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মা তার ছেলে কে বলবে বাবা, তুমি ছাত্রলীগ করো। আমরা আরো কর্মসূচি হাতে নিয়েছি জেলার প্রত্যেকটি ভাস্কর্য থেকে আমরা সব দলের ব্যানার ফেস্টুন নামিয়ে ফেলবো। দেশের ঐতিহ্যর স্মৃতিফলক আর লোকচক্ষুর আড়ালে যেতে দিবো না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি আমাদের সময়.কমকে বলেন, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ খুবই প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। ধন্যবাদ জানাই পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান শিকদারকে। আমরা ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি পজেটিভ কাজকে সমর্থন দিবো। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আরো এগিয়ে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তির তোরণ থেকে আমি নিজে সমস্ত ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে ফেলেছি। এগুলো ছাত্রলীগের পরিবর্তনের ধারা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভালো কাজের উৎসাহ উদ্দিপনা দিবো। এক্ষেত্রে তারা কোনো বাধার সম্মুখিন হলে আমি ও শোভন আমরা দুজনই হস্তক্ষেপ করবো।
আপনার মতামত লিখুন :