শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:২০ সকাল
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ০৭:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ছানামুখী দিনেদিনে মান হারাচ্ছে

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তৈরি ছানামুখীর ঐতিহ্য রয়েছে সে বৃটিশ আমল থেকে। এখানকার তৈরি ছানামুখী জেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশ-বিদেশ ভুক্তাদের কাছে জনপ্রিয়।

গরুর খাঁটি দুধ থেকে তৈরি হয় ছানামুখী নামক এক ধরনের মুখরোচক মিষ্টান্ন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী এই খাবারের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। তবে বর্তমানে দুধ আর ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার কারণে মান হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টান্ন। প্রায় শতবছর আগে মহাদেব পাঁড়ে নামে এক ব্যক্তি এ মিষ্টির প্রচলন করেন।

এই খাবারটির সুনাম বৃটিশ রাজত্বকালে উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। মহাদেব পাঁড়ের জন্ম ভারতের কাশিধামে হলেও তিনি কলকাতায় তার ভাইয়ের মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি ঘুরতে ঘুরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। পরে মসজিদ রোড এলাকায় তিনি মিষ্টির দোকান চালু করেন। বর্তমানে তার নামের অনুসারে ওই এলাকাটিকে মহাদেব পট্টি নামে ডাকা হয়। সেই থেকে ছানামুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ হয়ে আছে।

ছানামুখী কিনতে আসা শাকিল মিয়া ও শিউলী বেগম বলেন, আমরা নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের বাসায় জেলার বাইরে গেলে ছানামুখী নিয়ে যায়। কিন্তু দিনে-দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ছানামুখী ভেজাল হয়ে যাচ্ছে। এখন আগের মত শুধু ছানা দিয়ে ছানামুখী তৈরী হয়না সাথে ময়দাও মিশানো থাকে। যার কারণে এখন এগুলো অল্প সময় বাসায় রাখার পর শক্ত হয়ে যায়।

জেলার শহরের বেশ কয়েকজন ছানামুখী কারিগরের কথা হয় তারা বলেন, আগে দেশি গাভীর দুধের কারণে ছানামুখীর মান উৎকৃষ্ট ছিলো। বর্তমানে শংকর জাতের গাভীর কারণে আগের মত ছানামুখীর স্বাদ পাওয়া যায় না।

বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা প্রতিদিন ছানামুখী তৈরী করি। প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ৫৫০ টাকা কেজি। তাতে লাভ হয় ২০/২৫ টাকা। বিভিন্ন উৎসবে দুধের দাম বেড়ে গেলে আমাদের লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হয়। অন্যথায়, ছানামুখী উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়