আহমেদ জাফর : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামালের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছলে-বলে কৌশলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানের মতো ব্যক্তির নেতৃত্বে চলতে তার আপত্তি আছে বলে মনে হয় না। গতকাল বনানীতে নির্মিত বিআরটিএ’র নতুন ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের ৩৬তম কমিশন সভার এজেন্ডায় নিজের ‘ব্যক্তিগত’ পর্যালোচনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ‘অপমানিত’ হয়েছেন বলে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে তা বর্জন করেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হবে কি না সাংবাদিকদের- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য করতে চাই না। তারপরেও সে বিষয় স্মরণ করিয়ে দেই। যিনি নোট অব ডিসেন্ট দিলেন বা বেরিয়ে গেলেন তিনি সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেছিলেন সেখানে মাহবুব তালুকদার বিএনপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন।
‘এটা তো নিরাপত্তা পরিষদ না যে পাঁচজনের সম্মতি না হলে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচজন স্থায়ী সদস্য আছেন তারা একমত না হলে ‘মেজর’ কোনো সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা পরিষদ নিতে পারে না। এটা নিরাপত্তা পরিষদ না। এখানে অধিকাংশ একমত হলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আর একজন বিরোধিতা করেন, এটাও গণতন্ত্র। এটা ব্যক্তির গণতন্ত্র হিসেবে ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার আছে।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশনের একজন সদস্য নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন, এটা কোনো বাধা নয়, প্রতিবন্ধকতাও না। কাজেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি অযৌক্তিক।
ড. কামাল হোসেনের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ধরনের দল, ঐক্য গঠন করা ঐক্য দল আসলে কে চালাবে? মূল দল হচ্ছে বিএনপি, আর বিএনপিকে এখন কে চালায়? বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে কারাবরণ করছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন তারেক রহমান একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারেক রহমানের নির্দেশে এ দল এখন চলবে? সম্পাদনা : নুসরাত শরমীন
আপনার মতামত লিখুন :