লিহান লিমা: ধনীদের তথাকথিত ‘গোল্ডেন পাসপোর্ট’ দিয়ে কর ফাঁকি দেয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার হুমকি বিশ্বের ২১টি দেশ বলে জানিয়েছে আর্থিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা (ওইসিডি)। এর মধ্যে রয়েছে ৩ ইউরোপিয় দেশ, মাল্টা, মোনাকো ও সাইপ্রাস।
বিনিয়োগের পরিবর্তে নাগরিকত্ব প্রদান করা ১০০ দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ওইসিডির এই কালোতালিকায় শীর্ষে রয়েছে ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের দেশগুলো। সংস্থাটি জানায়, ২০০৬ সাল থেকে অ্যান্টিগুয়া, বারবুডা, বাহামাস, ডোমিনিকা, গ্রানাডা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস ১৬ হাজার পাসপোর্ট বিক্রি করেছে। তালিকায় আরো রয়েছে, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভানুয়াতু, কলম্বিয়া, মরিশাস, মন্টসেরাত, পানামা, সেচেলস ও তুর্ক এন্ড সেসোচ দ্বীপপুঞ্জ।
প্যারিসভিত্তিক এই সংস্থাটি দ্রুত বর্ধনশীল বিনিয়োগের পরিবর্তে নাগরিকত্ব বাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা জানায়, কোন দেশের তহবিলে অর্থ প্রদান, সম্পদ বা সরকারের বন্ডে বিনিয়োগ করে বিদেশিরা নাগরিকত্ব পায়, যেখানে কি না তারা কখনোই বসবাস করে নি। অন্যদিকে কম শুল্কের প্রস্তাব দিয়ে বিদেশি অর্থ বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর ফলে ব্যক্তি তার যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা দরকার তা করে না। দ্বিতীয়ত, পাসপোর্টের মাধ্যমে তারা বিদেশে থাকা সম্পদ লুকিয়ে রেখে কর ফাঁকি দেন।
গত সপ্তাহে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও গ্লোবাল উইটনেসের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, গত এক দশকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলো বিনিয়োগের বিনিময়ে ৬ হাজার জনকে নাগরিকত্ব ও ১ লাখ ব্যক্তিকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে। রাজনৈতিক নেতা, আইনপ্রণেতা ও তদন্তকারী সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, এই সুবিধার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যবসায়ী ও অপরাধীরা সুযোগ পাচ্ছে। গার্ডিয়ান
আপনার মতামত লিখুন :