মামুন হাওলাদার, দৌলতখান (ভোলা) : ভোলার দৌলতখান থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রী অপহরনের ২৯ দিন পর গত সোমবার (১৫অক্টোবর) রবিশালের মুলাদী থেকে উদ্ধার থানা পুলিশ।
ভিক্টিম ৬ষ্ঠ শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী জানায়, একই এলাকার বোরাক(অটোরিকসা) চালক, জামাল ,রাকিব, নাজিম, রাজিব দীর্ঘদিন ধরে তাকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্তক্ত করতো । অন্যান্য দিনের মত গত ১৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা থেকে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে জামাল গংড়া তাকে জোর পূর্বকভাবে বোরাকে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি অজ্ঞাত স্থানে রেখে ওইদিন রাতভর উপর্যোপুরী ধর্ষন করে। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চে তুলে দেয়।
পরে সদরঘাট পৌছে সে দিশেহারা হয়ে ওই দিনই বরিশালের মুলাদির একটি লঞ্চে ওঠে। পরদিন লঞ্চ থেকে নেমে মুলাদী বাসষ্টেশনে গিয়ে হাজী পরিবহন নামের একটা বাসে উঠলে বাসের কন্টেকটার বেলাল হোসেন (পিতাঃ মোঃ খলিল গাজি ) মেয়েটিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর এলাকার লোকের তোপের মুখে। পরে বেলাল সবাইকে জানায় মেয়েটি তার স্ত্রী। এভাবেই তারা স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় একটি ভাড়া বাড়িতে ২৫ দিন বসবাস করে।
এরপর ভিক্টিম সুযোগ পেয়ে বাড়িতে ফোন করলে ভিক্টিমের পরিবার বিষয়টি থানা কর্মকর্তাকে জানায়। পরে ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন মুলাদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তার সহযোগীতায় দীর্ঘ ২৯ দিন পর ভিক্টিমকে উদ্ধার করে। এসময় ধর্ষক বেলালকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, ৬ জনকে বিবাদী করে দৌলতখান থানায় একটি অপহরণ ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে ৫ জন দৌলতখানের এবং একজন মুলাদীর বাসিন্দা। তিনি আরো বলেন, এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি আসামীদের খুব শীগ্রই গ্রেফতার করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :