রাকিবুল হাসান : বাংলাদেশে বাড়ছে বিদেশি ফলের চাহিদা। আর এই বাজার ধরতে লাতিন আমেরিকার দেশ চিলি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে ফল আমদানিকারকদের সাথে বৈঠক করেছেন চিলির ফল রফতানিকারকেরা। বৈঠক শেষে বাংলাদেশে ফল রফতানি বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
চিলির ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশের মার্কেট অনেক বড়, আমরা চেষ্টা করছি এই বাজারে চিলির পণ্য আরো বাড়ানোর। দূরত্ব বেশি থাকায় বাংলাদেশে কন্টেইনার আসতে সময় লাগে। তবে কন্টেইনারে ফ্রিজিং ব্যবস্থা থাকায় তাজা ফল পেতে কোনো সমস্যা হয় না বলে জানান তারা।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের ফল খাওয়ার প্রবণতা কেমন বা কী ধরনের ফল তারা পছন্দ করে তা জানতে ও বুঝতে আমরা এসেছি। ফলের গুণগত মান ধরে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ মনোযোগী। এদেশের ভোক্তাদের কাছে তাজা ফল পাঠাতে আমরা কাজ করবো।
বাংলাদেশের ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সালিমুল হক ঈসা বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে আমরা জাতে পারছি তাদের কাছে কী কী ফল আছে। এবং কী কোয়ালিটি তারা দিতে পারবে । ফরমালিন ছাড়া ও ক্যেমিকেল মুক্ত পণ্যের ব্যাপারে তাদের সাথে আলাপ হয়েছে।
চিলির ফল রফতানিকারক সমিতির পরিচালক শরিফ ক্রিস্টিয়ান ক্যারভাহাল বলেন, বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কে চিলির ব্যবসায়ীদের তেমন ধারনা নেই। এ সফর বাংলাদেশের বাজার সর্ম্পকে ভালো ধারণা দিবে। অন্যদিকে সমস্যাগুলো সমন্ধেও আমরা জানতে পেরেছি।
বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলেট অব চিলি, আসিফ এ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে চিলির যে পণ্য রয়েছে তার পরিমাণ ভবিষ্যতে আরো কীভাবে বাড়ানো যায় সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তারা এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা লিডিং পজিশনে আছে তাদেরকেও তারা আহ্বান জানিয়েছেন চিলি ভ্রমণ করতে।
ভারতের চিলি দূতাবাস ও ট্রেড কমিশনার ক্যারোলিনা ডাসকুয়েজ বলেন, এই সফর চিলি সরকার ও ফল রফতানিকারকদের যৌথ উদ্যোগ। দূরত্ব বেশি তারপরও কীভাবে বাণিজ্য বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।
সূত্র : যমুনা টিভি।
আপনার মতামত লিখুন :