উল্লাস মূর্তজা : দেশে নিবন্ধিত ৩৬ লাখ যানবাহন তদারকিতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’র রয়েছে মাত্র ১’শ পরিদর্শক। ফলে হেলায় ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট পাচ্ছে এসব যানবাহন। এক বছরের জন্য সনদ দেওয়া হয়, কিন্তু মেয়াদ শেষেও এগুলো সড়কে চলছে বিনা বাধায়। বিআরটিএ’র সক্ষমতা না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে যানবাহন মালিক-শ্রমিকরা। ঝুঁকিতে পড়ছে সড়ক নিরাপত্তা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’র মিরপুর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল নয়টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যানবাহনের ফিটনেস, চালকের লাইসেন্সসহ সবধরনেরই কাজ চলে এখানে।
বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, এক একটি যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপে সময় লাগার কথা সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট। আর এভাবে ৮ ঘণ্টার কর্মসময়ে প্রতিটি বুথ থেকে ফিটনেস পরীক্ষা করা সম্ভব মাত্র ১৬টি গাড়ির। সেই হিসেবে এই কার্যালয়ের ৩টি বুথে গড়ে প্রতিদিন ৪৮টি গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা সম্ভব। রাজধানীর দিয়াবাড়ি ও ইকুরিয়াসহ তিনটি কেন্দ্রে একই ভাবে প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি গাড়ির ফিটনেস সনদ দেওয়া যায়। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭’শ গাড়ির। কিন্তু কীভাবে?
শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী পরিচালক ও মুখপাত্র ‘বিআরটিএ’ জানান, ‘এ অবস্থায় জনবল বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি ফিটনেস সনদপত্রের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
বিআরটিএ’র পরিসংখ্যান বলছে, ৩৬ লাখ নিবন্ধিত যানবাহনের মধ্যে ২১ লাখ মোটর সাইকেল। বাকিগুলো ভারি যানবাহন। এই বিপুল সংখ্যক যানবাহনের তদারকিতে বিআরটিএ’র আছে মাত্র ১’শ জন পরিদর্শক। একই চিত্র সারাদেশের। গাড়ির ফিটনেস দেওয়া হয় সম্পূর্ণ পরিক্ষা ছাড়াই। আর এর খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। সূত্র : বৈশাখী টিভি
আপনার মতামত লিখুন :