মহসীন কবির ও আহমেদ জাফর : নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া নোট অফ ডিসেন্ট গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট। এটা নিরাপত্তা পরিষদ নয় যে, কেই রাজি না থাকলে প্রস্তাব পাশ হবে না। কাদের বলেন, যুক্তফ্রন্টকে কৌশলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ঐক্য অচিরেই ব্যর্থ হবে।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বনানীতে বিআরটিএ'র নবনির্মিত ভবনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন সার্চ কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেন, তখন মাহবুব তালুকদার বিএনপি'র পছন্দে কমিশন এসেছিলেন। আমি শুধু এটুকু মনে করিয়ে দিতে চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সভা বর্জনকে গণতন্ত্র চর্চার অংশ বলেই মানছেন কাদের। এটা গণতন্ত্র, একজনের ভিন্নমত প্রকাশ করার অধিকার আছে। কাজেই একজনের ভিন্নমতের কারণে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের কোন যৌক্তিকতা নেই বলে দাবি করেন।
ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিলো ইভিএম ইস্যুতে সভা বর্জনের পর গতকালও (সোমবার) নির্বাচন কমিশনের সভায় বেশ কিছু বিষয়ে একমত হতে না পারা এবং কথা বলার স্বাধীনতা না পাওয়ার অভিযোগে নোট অব ডিসেন্ট লিখে সভা বর্জন করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
এ প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রশ্ন ছিলো নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের এমন বর্জনে কমিশনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হলো কি না? পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপির দাবি যৌক্তিক প্রমাণ হলো কি না?
নির্বাচন কমিশনকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ না ভাবার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের (জাতিসংঘ) পাঁচ স্থায়ী সদস্যের সকলে একমত না হলে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এটা (নির্বাচন কমিশন) নিরাপত্তা পরিষদ নয়। মেজরিটি একমত হলেই যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের সভা বর্জন নির্বাচন কমিশনের কাজের জন্য কোনো বাধা নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :