আসিফুজ্জামান পৃথিল : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, আয়ারল্যান্ড-সীমান্তের বিষয়ে ব্রাসেলস নিজেদের দাবী তুলে না নিলে ব্রেক্সিট চুক্তি হবে না। সোমবার রাতে পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ব্রেক্সিট নিয়ে এদিন খুব উত্তপ্ত ছিলো হাউজ অব কমন্সের অধিবেশন, তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে নিজের রক্ষণশীল ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
অধিবেশনে ইউরোপে থাকতে ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক এমপিদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হলেও ঠা- মাথায় নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন মে। তিনি জানিয়েছেন, ব্রাসেলস যদি যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডকে বিচ্ছিন্ন করার দাবীতে অনড় থাকে, তবে তিনি কোন চুক্তি বা শর্ত ব্যতিরেকেই ব্লক ত্যাগ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি, আমরা কোনভাবেই এমন কিছুতে রাজি হবো না, যা যুক্তরাজ্যের অখ-তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।’
বেশ কিছুদিন থেকে ইউরোপের পক্ষে থাকা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, বিশেষতঃ বরিস জনসন এবং আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি’র কাছ থেকে বড় রকমের চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে ভাষণে তিনি এও বলেছেন, ইউরোপের সাথে মতপার্থক্য সত্ত্বেও ব্রেক্সিট চুক্তি এখনও সম্ভব। এছাড়াও মে তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন, যারা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপিয় কাস্টমস আইনে সমস্যায় পড়বে।
এদিকে বিরোধিদলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, লেবার পার্টি নয়, নিজ দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন থেরেসা মে।
২০১৯ সালের মার্চে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ত্যাগ করবে যুক্তরাজ্য। একই সাথে তারা ইউরোপের একক বাজার ব্যবস্থা আর কাস্টমসও ত্যাগ করবে। ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ইউরোপের (রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড) মাঝে নতুন সীমানা তৈরী হবে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ উভয় পক্ষই ‘কঠিন সীমান্ত’ চায় না। কিন্তু কিভাবে এটি এড়িয়ে যাওয়া হবে, সে বিষয়ে একমত হতে পারছে না কোন পক্ষই। ডেইলি মেইল, বিবিসি। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :