জাফরুল আলম : কর্মক্ষেত্রে নারীরা প্রতিনিয়ত নানা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটা প্রতিহত করা দরকার। এ ক্ষেত্রে আইন থাকলেও সেটা বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে অপরাধীরা আইনের ফাঁকফোকরে ছাড়া পেয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট আইন কার্যকরের মাধ্যমেই সম্ভব নারীর প্রতি সুবিচার করা। তাই প্রতিটি নারীকে তাদের কর্মস্থলে যৌন হয়রানীমুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জেন্ডার প্লাটফর্মসহ ৯টি সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি যৌন হয়রানীমুক্ত নিশ্চিতকরণে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। পরে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্টে রায়ের মাধ্যমে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
বক্তারা আরও জানান, সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন হয়রানীর বিষয়ে সুস্পষ্ট লেখা থাকলেও বাস্তবে সেটা কার্যকর হচ্ছে না। শুধু কর্মস্থলই নয়। নারীরা স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয় থেকে শুরু করে গার্মেন্টসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই যৌন হয়রানির মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। যৌন হয়রানী বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে সেটা সরকারের সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণায়নে অবগত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে এড. নাহিদা আনজুম কণা বলেন, এ বিষয়ে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয় বরাবর প্রস্তাবিত আইনের খসড়া কপি দেয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এখন পর্যন্ত আমাদেরকে কিছু জানায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা এড. নাহিদা আনজুম কণা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিল্স এর প্রজেক্ট সমন্ময়কারী নাজমা ইয়াসমিন, বিএনডাব্লিউএলএ’র পরিচালক এড. তাওহিদা খন্দকার, ওসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাকী রোজোয়ানা প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :