লিহান লিমা: বিশ্বজুড়ে নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবহৃত হচ্ছে হ্যাশট্যাগ ‘মি টু’। যদিও বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির শিকার হওয়া গৃহকর্মীরা জানেন না কিভাবে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। উল্টো চুরির অভিযোগ কিংবা জীবনধারণের ভয় তাদের কুঁড়ে খায়। যৌন হয়রানিকে তারা মেনে নেন নিয়তি কিংবা ভাগ্যের পরিহাস হিসেবে।
বিলসের গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ ভাগ গৃহপরিচালিকা নির্যাতনের শিকার হন। এইসব নারীরা তাদের অভিযোগ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে পারেন না। বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অনেক নারী নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন। চলতি বছর সৌদিআরব, জর্ডান, লেবানন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা নারীরা নির্যাতনের ভয়াবহ সব বিবরণ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের প্রথম আট মাসে শুধু সৌদিআরব থেকে ফিরেছেন ১ হাজার ৫০০ গৃহকর্মী।
ভারতের ৪২ লাখ গৃহকর্মীর মধ্যে ২৯ লাখই নারী। ভারতের গোরেগাঁও, ফরিদাবাদ ও দক্ষিণ দিল্লীতে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, ২৯ ভাগ গৃহকর্মী যৌন হয়রানির শিকার হন এবং এর মধ্যে ১৯ ভাগই এটিকে এড়িয়ে তাদের কাজ করে যান। ৬১.৮ ভাগ অশ্রীল মন্তব্যের শিকার হন। ১৫ ভাগ এটি বন্ধু ও সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেন। ২.৩ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হয়ে চাকরি ছাড়েন। গোরেগাঁওয়ের মহিলা কামঘর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অনিতা যাদব বলেন, বেশিরভাগ গৃহকর্মীই তাদের সঙ্গে হওয়া হয়রানির কথা বলেন না, কিন্তু তারা নির্যাতন, ধর্ষণ ও জোরপূর্বক শ্রমের শিকার। ওয়েব
আপনার মতামত লিখুন :