শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:৪৭ দুপুর
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ঐক্যে আপত্তি নেই বিকল্পধারার: মাহি বি চৌধুরী

শিহাবুল ইসলাম : স্বেচ্ছাচার মুক্ত বাংলাদেশের জন্য ক্ষমতাসীন বা যে কোনো দল, পক্ষ থেকে যদি ভারসাম্যের রাজনীতির আহ্বান আসে তাহলে তাদের সঙ্গে ঐক্য করতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিকল্পধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী। তবে তিনি বলেন, সেটা স্বাধীনতা বিরোধীদের বাইরে রেখে আসতে হবে।

রোববার বারিধারা নিজ বাস ভবনে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আপনারা জাতীয় ঐক্য থেকে দূরে সরে গেলেন, এ অবস্থায় সরকারে সঙ্গে বা কাদের সিদ্দিকির সঙ্গে কোনো জোট করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহি বি. চৌধুরী বলেন, দেখুন ১২ ও ১৩ তারিখে কি ঘটলো আর আজকে ঘটছে । যেখানে এক দুই দিনের মধ্যে রাজনীতিতে এতো কিছু ঘটে যায়, সেখানে এতো দীর্ঘ সময়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। আমি জানি না শেষ পর্যন্ত কোথাকার জল কোথায় গিয়ে ঠেকবে।

বিএনপির যদি শুভ বুদ্ধির উদয় হয় তাহলে যদি তারা বুঝতে পারে এখানে ভারসাম্যের সৃষ্টি হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির ঐক্য হবে তাহলে আমি মনে করি বিএনপিকে সাথে নিয়েই জাতীয় ঐক্য সম্ভব।
ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে যদি ভারসাম্যের রাজনীতির আহ্বান আসে সেদিকে আপনারা যাবেন কিনা? অবশ্যই, ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে যদি আহ্বান আসে, তারা যদি বলে ভারসাম্যের রাজনীতি বিশ্বাস করে। আজকে মহাজোট করে ২৪০ টি আসন তাদের দখলে রাখবে আর বলবে মহাজোটের সরকার, এটা মিথ্যাচার। ওটাও আওয়ামী লীগের সরকার। যেকোনো পক্ষ যদি বলে আমরা ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য রাজী আছি, অবশ্যই আমাদের কোনো আপত্তি নাই।

স্বেচ্ছাচার মুক্ত বাংলাদেশের জন্য কোনো দল এগিয়ে আসে আসতেই পারে। আজকে আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাচারী চেহারা দেখছি, আগে বিএনপির চেহারা দেখেছি। তারপরও বিএনপির সাথে আলোচনায় গিয়েছি। কারণ বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল ভারসাম্যের রাজনীতি ধারণটাকে গ্রহণ করে তাহলে বাংলাদেশে নতুন দিনের সূচনা হওয়া সম্ভব। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে, ক্ষমতাই ছাড়তে চায় না, আর আপনি যদি আশা করেন তারা এসে বলবে আমরা ১৫০ আসন ছেড়ে দেবো তাহলে ইয়েস, একাডেমিক্যালি হতেই পারে জাতীয় ঐক্য।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বি. চৌধুরীর ছেলে বলেন, আমাদের ভারসাম্যের রাজনীতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, বার বার বলা হচ্ছে ১৫০ টি আসন আমরা দাবি করছি! আমি আবারও দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আসন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয় নাই। আমরা স্পষ্ট ভবে বলেছি প্রয়োজনে বিকল্পধারাকে একটি আসনও দেওয়ার প্রয়োজন নাই, জাতীয় নির্বাচনে বিকল্পধারা সারা দেশের সমন্বয়কের ভ’মিকা পালন করবে, একটি নির্বাচনে বিকল্পধারা কোথাও কোনো সংসদ সদস্যের প্রয়োজন নাই। আমরা শুধু বলেছি বিএনপি যেন ১৫০ টির বেশি আসনে নির্বাচন না করতে পারে। বাকি সব দলকে দিয়ে দেন।

বিকল্পধারার একটিও দরকার নাই। দরকার হলে আমিও নির্বাচন করবো না। বি চৌধুরী সাহেব বলেছেন আমি সংসদ সদস্য হতে চাই না, নির্বাচন করবো না, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী হবো না। বিকল্পধারা ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা কোনো কিছুই বলে নাই, শুধু বলেছে বিএনপি যদি একক ভাবে ১৫১ আসনের বেশি পায় এই সমস্ত স্বপ্ন নস্যাৎ হয়ে যাবে। কোনো না কোনো ভাবে বিএনপিকে ১৫০ আসনের নিচে রেখে একটি যদি ভারসাম্যের সৃষ্টি করা যায়, তাহলে মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। এবং স্বেচ্ছাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো, সেটাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা ১৫০ আসন চাইনি। এগুলো মিথ্যাচার করছে বিএনপি। এই পুরো জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে একটি দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে আমরা শুধু সেটার বিরোধিতা করছি। আমরা নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না।

বিএনপি আশা করছে এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় আপনারা যোগ দিবেন, আপনাদের মতামত কি? বর্তমান নেতৃতের বিএনপির দুষ্টামির রাজনীতি আসলে আমরা বুঝি না। যখন সংসদে রেজুলেশন ছিল বি চৌধুরীর পদত্যাগের জন্য সে সময় বিএনপির নেতৃবৃন্দ টেলিফোন করে বলেছিল একটু ধর্য্য ধরো সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। এটাই আসলে উনাদের দুষ্টামির রাজনীতির অংশ।

এখনো বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্য সম্ভব। তবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গ ত্যাগ করে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত মনে হয় আমাদের সাথে যোগ হওয়ার বা জাতীয় ঐক্যের সম্ভাবনা নাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়