জামাল হোসেন খোকন (জীবননগর,চুয়াডাঙ্গা): ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ পুজাকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি পুজা মন্দিরের অনুকুলে সরকারীভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে। প্রতিটি পুজা মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ বিভিন্ন প্রশাসনের নিরাপত্তাকর্মিরা দায়িত্ব পালন করছেন।
জীবননগর থানা সুত্র জানান, চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি পুজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে মন্দিরগুলোকে দর্শণীয় করে তোলা হয়েছে।
পুলিশের দাবী সবগুলো পুজামণ্ডপ গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, আমরা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে প্রতিটি পুজা মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা যাতে তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি পুজা উৎযান কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন। আমি নিজে ও থানার অফিসার ফোর্স সার্বক্ষণিক সরজমিনে তদারকি করছি।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শারদীয়া দুর্গাদেবীর বোধন ও ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং আগামী ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে পুজা উৎসবের সমাপ্তী ঘটবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, উপজেলার প্রতিটি পুজা মন্দিরের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিটি পুজা মন্দিরের অনুকুলে সরকারী সাহায্য হিসাবে ৫০০ কেজি হারে চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমার জানামতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ কোথাও কোন সমস্যা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :