শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস আজ

হ্যাপি আক্তার : আজ ১৫ অক্টোবর, বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারো জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও দিবসটি পালন করছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১৮ এর নিচে বিয়ে নয়, আইন করে বাল্যবিয়ের স্বীকৃতি বন্ধ হোক”।

আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও উন্নয়ন সংস্থাসমূহ নিজেদের অর্থায়নে দেশের ৬০টি জেলা এবং ১১টি উপজেলায় নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি ২০১৪ এবং এর জেলা শাখা গঠন করা হয়েছে। এসব জেলা কমিটি স্থানীয় পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

গ্রামীণ নারীদের বহুমাত্রিক ভূমিকা ও অবদানকে যথাযথ স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য আন্দোলন চলছে যুগ যুগ ধরে। তবে এর মাঝে একটু একটু করে উন্নতি করছেন অনেকেই। সমাজের অগ্রগতিতে গ্রামীণ নারীর অবদান অনস্বীকার্য।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী; আর তার শতকরা ৮৬ ভাগের বাস গ্রামে। গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামীণ নারীরা দিনের মোট সময়ের শতকরা ৫৩ ভাগ ব্যয় করে কৃষি ও ক্ষুদ্রশিল্প ক্ষেত্রে। যেখানে পুরুষরা ব্যয় করে শতকরা ৪৭ ভাগ সময়।

প্রায় ২ কোটি কর্মজীবি নারীর মাঝে দেড় কোটিই গ্রামীণ নারী। আসবাবপত্র তৈরী, কৃষিকাজ, কুটির শিল্প, গার্মেন্টসসহ নানান কাজে গ্রামীণ নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। আর তাদের আয় দিয়েই সংসারে এবং সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে আগ্রহী এই নারীরা।

জিডিপি-তে নারীর অবদান ২০ শতাংশ, তবে নারীরা যে গৃহস্থালী কাজ করেন, তার আনুমানিক মূল্য আড়াই লাখ কোটি টাকা। সে হিসেবে জিডিপিতে নারীর অবদান দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ।

অবমূল্যায়ন নয়, পরিবার ও সমাজে গ্রামীণ নারীর অবস্থানের মূল্যায়ন করার লক্ষ্যেই ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় ১৫ অক্টোবর আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালনের সিদ্ধন্ত গৃহীত হয়। কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের ভূমিকার প্রতি স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার রেজুলেশন নম্বর ৬২/১৩৬-এর মাধ্যমে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০০৮ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন করে আসছে। এর আগে ১৯৯৫ সালে গ্রামীণ নারীদের খাদ্য উৎপাদনসহ বহুমুখী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের স্বীকৃতির জন্য বেইজিং সম্মেলনেই প্রতি বছরের ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস বিশ্বের গ্রামীণ নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে সংগঠিতভাবে পালিত হচ্ছে। সূত্র : ডিবিসি নিউজ, জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়