পিনাকী ভট্টাচার্য : ক্ষমতাসীনদের পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করাটাই হতে হবে এখন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান লক্ষ্য। এমনকি ক্ষমতাসীনদের একাংশ, তা যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন, তাদের যুক্ত করতে হবে ঐক্য ফ্রন্টে। আমি একারণেই এতে মুজিববাদী ছাত্র লীগের সাবেক নেতা, ডাকসু’র প্রাক্তন ভিপি সুলতান মো মনসুর আহমেদের অন্তর্ভুক্তিকে খুব ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখি।
গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের লড়াই তখনই বিজয়ী হবে, বিরোধী দল যখন ক্ষমতাসীনদের দুর্গে ফাটল ধরাতে পারবে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সাংগঠনিক কাঠামোর ভেতর যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে, যাতে নিকট ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের দলছুট অংশকে এর অভ্যন্তরে ধারণ করা সম্ভব হয়।
আওয়ামী লীগ সর্বত্র বলে বেড়াচ্ছে, রাষ্ট্র ক্ষমতা হারালে তারা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হবে। আসলে এটা দলীয় নেতা, কর্মীদের মরিয়া হয়ে প্রতিরোধ করতে বাধ্য করানোর একটা হীন কৌশল ছাড়া কিছুই না। তাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টকে তেমন এক বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা অর্জন করতে হবে, যাতে তারা মনে করে, পরিবর্তিত পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, কোন ব্যক্তি বা দল আইন নিজের হাতে তুলে নিবে না। ছোট-বড় সকল অপরাধের বিচার হবে, আইন অনুযায়ী অভিযোগ উত্থাপন, সুষ্ঠু তদন্ত ও আদালতের মাধ্যমে। কারো বিরুদ্ধে কোন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সুযোগ দেয়া হবে না।
ক্ষমতাবহির্ভুত সকল বাম দল, জামায়াত সহ ইসলামপন্থী দলসমূহ, এমনকি জাতীয় পার্টি সহ সবার সাথে সমঝোতা সৃষ্টির জন্য জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টকে অনেক কাজ করে, দ্রুত অগ্রসর হতে হবে। ডা: বি. চৌধুরী ও তাদের দল বিকল্প ধারাকে নিয়ে বিরূপ কথা না বলে, তাদের সাথেও ঐক্য স্থাপনের চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই দলটিকে আওয়ামী শিবিরে ঠেলে দেয়া খুব ভুল কাজ হবে।
সময় খুব কম; তাই একটু দ্রুত পা ফেলে সামনে এগুতে হবে।
(ফেসবুক)
আপনার মতামত লিখুন :