শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:৩৯ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০১:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে যুবকদের এক তৃতীয়াংশই বেকার : ড. দেবপ্রিয়

ফয়সাল মেহেদী : বাংলাদেশের মানুষ যত বেশি শিক্ষিত হয়, বেকার হওয়ার ঝুঁকিও তত বেশি হয়। দেশের যুবকদের এক তৃতীয়াংশই বেকার। এই বেকারত্ব কমিয়ে আনতে সরকারকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে বিশাল এই জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের জন্য প্রয়োজন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।

রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম আয়োজিত যুব সম্মেলনে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ‘বাংলাদেশ ও এজেন্ডা ২০৩০ : তারুণ্যের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, আমাদের জনসংখ্যার সবচেয়ে মেধাবী অংশ যুব সমাজ। এত বড় একটি মূল্যবান সম্পদ আমরা কাজে লাগাতে পারছি না, এটি আমাদের একটি বৃহৎ জাতীয় অপচয়। দেশের এক তৃতীয়াংশ ভোটার যুবক। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির আগে যুব সমাজের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তাদের মতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যুবকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

ড. গওহর রিজভী বলেন, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাও একটা চ্যালেঞ্জ। তবে এই চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, এসডিজি অর্জনে আমাদের যুব সমাজ কাজ করছে। তাদেরকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে পারলে এসডিজি অর্জনে আমরা সফল হবো।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, আমরা ১১ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর মধ্যে ৬ লাখ নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। অনেকে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং চাকরি দিচ্ছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সুলতানা কামাল বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে সম্মানীত করছে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, দেশের দায়িত্ব যেন দুর্বৃত্তদের হাতে চলে না যায়। সাংস্কৃতিক শূন্যতা তৈরি করা যাবে না। দেশের উন্নয়নে সাংস্কৃতিক চর্চা জরুরি।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক সংস্থার (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, যুব সমাজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। আর তাদের জন্য কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই এসডিজি অর্জন সহজ হবে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুবক, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছর। ২০৩০ সাল নাগাদ এই যুবকরাই দেশের নেতৃত্ব দেবে, কর্মোপযোগী থাকবে বলে বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।

সম্পাদনায়: মাহবুব আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়