শিরোনাম
◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাসূল সা. কি সফর মাসকে ‘দুঃখের মাস’ বলেছিলেন?

আমিন মুনশি : আরবি বছরের দ্বিতীয় মাস সফর। আল্লাহর সৃষ্টি প্রতিটি দিন-রাত-মাস-বছরই ফজিলতপূর্ণ। তাই সফর মাসও এর বাইরে নয়। আল্লাহ তায়ালার রহমত, বরকত, কল্যাণ পেতে হলে এ মাসে বেশি বেশি নেক আমল করতে হবে। ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত আদায়ের পাশাপাশি গভীর রজনীতে নফল ইবাদতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে প্রভুর দরবারে খালেছ নিয়তে কোনো কিছু প্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন।

অনেকে এই মাসকে একটি দুঃখের মাস মনে করেন। রাসুল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে সফর মাস শেষ হওয়ার সুসংবাদ দেবে, আমি তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেব। রাসুল সা. স্বয়ং সফর মাসের শিগগিরই অবসান কামনা করেছেন। তাইতো এ মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদাত করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির সমূদয় অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকতে আল্লাহর দরবারে রোনাজারি করতে হবে।

সফর মাসের হাদিসটির ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ দুইটি মত তুলে ধরেছেন- প্রথমত, হাদিসটি সম্পূর্ণ জাল, মিথ্যা যা আদৌ রাসুলের হাদিস নয়, বরং যারা এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন তাদের কেউই হাদিস সংরক্ষণকারী নয়।
দ্বিতীয়ত, হাদিসটি সহিহ; তবে এ হাদিসের প্রেক্ষাপট কী- তা জানতে হবে।

মূলত হাদিসটি একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাসুল সা. বলেছেন। তা হলো, একবার হজরত আবু বকর রা. ইসলামের দাওয়াত নিয়ে দূরের এক জনপদে সফরে যান। সে সফর থেকে ফিরতে অনেক বিলম্ব হচ্ছিল। কোনো চিঠি বা সংবাদও আসছে না। এমতাবস্থায় রাসুল সা. প্রিয় সাহাবির জন্য চিন্তিত হয়ে পড়লেন। ঐ সময় একটি চিঠি এলো, তাতে লেখা ‘হে আল্লাহর রাসুল! (সা.) আমি সফর মাস শেষে মদিনায় ফিরব। কিন্তু তখনো সফর মাসের বেশ সময় বাকি। তাই তিনি হজরত আবু বকরের অপেক্ষায় থাকাকালীন সময় সফর মাস শেষের অপেক্ষায় থাকলেন যে, কখন সফর মাস শেষ হবে। তখন তিনি ওই হাদিসটি বলেছিলেন।

তাছাড়া এ মাসের শেষ বুধবারকে আখেরি চাহর সোম্বা বলা হয়। সাধারণ মুসলমানগণ এ দিনটিকে খুশির দিন হিসেবে উদযাপন করে। কিন্তু আখেরি চাহার সোম্বা কী? তা অনেকেই জানে না। অর্থাৎ রাসুল সা. সফর মাসের শেষ দিকে প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন। সফর মাসের শেষ বুধবার তিনি অনেকটাই সুস্থতা লাভ করেন। এ খুশিতে অনেক সাহাবি বিভিন্নভাবে দান-সাদকা করেছেন। এ দান-সাদকা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ।

তবে এমন কোনো হাদিস বা দলিল নেই যে, পরবর্তীতে সাহাবায়ে কেরাম এ দিনটি খুশির দিন হিসেবে উদযাপন করেছেন বা প্রতি বছর দান-সাদকা করেছেন। যেহেতু রাসুল সা. যুগ থেকে শুরু করে সাহাবায়ে কেরামগণের জামানায় ছিল না। তাই সে হিসাবে আখেরি চাহার সোম্বা ঘটা করে পালনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

এ ছাড়া রাসুল সা. প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে নফল রোজা রাখতেন। যাকে আইয়ামে বিজের রোজা বলা হয়ে থাকে। এ রোজা রাখলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়