জুয়েল খান: বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকক্ষেত্রে মৃতব্যক্তি এমনকি প্রবাসী ব্যক্তিদের নামও জড়ানো হয়েছে এসব মামালায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে বিবিসি বাংলার অনুসন্ধানে।
ঢাকার কয়েকটি থানায় এধরনের মামলার সরজেমিনে অনুসন্ধান করেছেন বিবিসি বাংলার প্রদিবেদক তাফসির বাবু। তার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এমনই এক মামলায় রাজধানীর চকবাজার থানায় আজিজুল্লা নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে যিনি ২ বছর আগেই মারা গেছেন। এবং তার মৃত্যুতে যে শোকের ব্যানার করা হয়েছে সেটা এখনও দেখে যাচ্ছে।
কিন্তু চকবাজার থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে লিখেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ করেছেন। এবং মামলার তারিখটা ছিল ৫ সেপ্টম্বর। অর্থাৎ তিনি মারা যাওয়ার পরেও তার নামে মামলা করা হয়েছে। আবার অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের বাইরে আছে কিন্তু তার নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আবার এমনো অনেক মামলা হয়েছে যে ঘটনার অভিযোগে মমলা করা হয়েছে সেখানে এই রকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। এমনই একটা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, চকবাজার থানার বেচারাম দেউড়ি এলাকায় আজগরী মঞ্জিলের সামনে সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়।
কিন্তু বাস্তবে সেখানকার লোকজন জানেই না যে এখানে কোনো ধরনের মিছিল কিংবা পুলিশের উপর ককটেল ছোড়ার কোন ঘটনাই ঘটেনি। কিন্তু পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা , তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন যে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে দেখেছেন ঘটনার সত্যতা আছে এবং স্থানীয় জনগণ বিষয়টি জানে। তবে এটা আসলে ঢালাওভাবে একটা দায়সারা বক্তব্য।
উল্লেখ্য বিএনপি বলছে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারা বাংলাদেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ৪ হাজারের বেশি গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে এবং এসব মামলায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :