শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:০৩ সকাল
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. বি. চৌধুরীর কাছে সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের প্রশ্ন

ফেসবুক: হঠাৎ করে আপনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন কেন হয়ে গেলেন তা নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। আপনার বক্তব্যে দু'টি বিষয় আমার নজরে এসেছে। একটি হচ্ছে জামায়াত ও দ্বিতীয়টি এককভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় না আনা। এই দু'টি আমার কাছে খুবই আদর্শিক মনে হলেও কিছু বাস্তবতা তুলে ধরছি।

হঠাৎ করে কেনো আপনি জামায়াত বিরোধী হয়ে গেলেন? আপনার রাজনৈতিক জীবনের একটা বড়ো অংশইতো এই গোষ্ঠীর সাথে সহঅবস্থানের মধ্য দিয়ে। রাজনীতিতে জামায়াত যখন পুনর্বাসিত হয় তখন মরহুম জিয়ার আমল। তখন আপনি এই বিএনপি প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। কখনো জামায়াতের বিরোধিতার কথা মনে পড়ে না। চারদলীয় জোটের জামায়াত ছিলো অন্যতম শরীক। আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে অনেক সভা সমাবেশ আন্দোলনে তাদের সাথেই ছিলেন আপনি। এরপর ক্ষমতায় জোট সরকার। আপনি রাষ্ট্রপতি। আর খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় জামায়াতের দুই মন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি হিসাবে আপনি কখনো তাদের বাদ দিতে প্রভাব খাটিয়েছেন এমন ইতিহাস নাই। আবার আওয়ামী লীগ আমলে যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি হলে সেই রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন এমন বক্তব্য বিবৃতিও আমার জানা নেই। তাই হঠাৎ করে জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়লে বিএনপি'র সাথেও বৈঠক করবেন না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি।

এবার আসি ক্ষমতার ভারসাম্য বিষয়ে। আপনি চাননা বিএনপি বেশি আসনে মনোনয়ন পাক। যদি ১৫০র বেশি আসন পায় তাহলে তারা এককভাবে ক্ষমতায় যাবে। তাই কম আসন দিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকানোর মধ্য দিয়ে ভারসাম্য আনা। কিন্তু এটা কি বাস্তব সম্মত? বাংলাদেশে দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর কোন দলের সেটা নেই। ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করতে তারা জোট করে। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।

আর আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে তৃণমূল পর্যায়ে পাল্টা শক্তির দল হলো বিএনপি। বিকল্প ধারাকে যদি ২০টা আসনও দেয়া হয় তাহলে তারা হয়তো কোন রকমে সেখানে প্রার্থী দেয়া হলেও তার পক্ষে কি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে মোকাবেলা করে জিতে আসা সম্ভব হবে। বিএনপি যদি ১৫০ আসন ছেড়েও দেয় তাহলেও কি এই জোটের পক্ষে এসব আসনে আওয়ামী লীগকে ফাইট করার মতো যোগ্য প্রার্থী আছে? আপনিতো নিশ্চয় জানেন যতো দলই নিয়ে জোট করেন না কেন এই জোটের মূল শক্তি হলো বিএনপি। বিএনপিকে বাদ দিয়ে যদি আদর্শিক জোট করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে ঐক্য করা। যে জোটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থাকবে সেখানে আদর্শিক লক্ষ্য রেখে নির্বাচন করা খুবই কঠিন। এখানে আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাটা মুখ্য। এসব বিষয় আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন। কেননা, আপনি ক্ষমতার রাজনীতির অংশ ছিলেন। কখনো আপনি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা বিরোধী অথবা ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন না। অন্ততঃ আপনি রাষ্ট্রপতি হবার আগে কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে যদি ওই পদে যেতেন তা'হলেও এতো অপমানজনকভাবে আপনার বিদায় হতো না।

সূত্র: সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের ফেসবুক থেকে নেওয়া

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়