শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাপিয়ে দেওয়ার নাম জীবন নয়

শামীমা সুলতানা : চাপিয়ে দেওয়ার নাম জীবন নয়, যে কোনো কিছু অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া বড় ভয়াবহ। হতে পারে তা কোনো কথা, হতে পারে মনের ক্ষোভ, হতে পারে তা কোনো যন্ত্রণা! বাবা মায়ের চরিত্রের অনেক কিছুই সন্তানরা পায়, এবং ছোটবেলা থেকেই সে পরিবারের আদর, সোহাগ, শাসন আর ভালোবাসায় বড় হয়। সন্তানকে যেমন খুব বেশি দেওয়া ঠিক নয় তেমনি খুব অভাবে রাখাও ঠিক নয়।

বেশি পাওয়া সন্তানগুলো বখে যায়, আর অভাবে থাকা সন্তানগুলো লোভী হয়ে ওঠে! সন্তানের জীবন সে তো বাবা মাকেই গড়ে দিতে হয়। অথচ কখনো দেখা যায় পুরোই উল্টো! গড়ে দেওয়ার বেলায় নিজেরাই ভুল কওে, পরে সে দোষ আরোপিত হয় সন্তানের উপর। আর সেই কারণে দুঃখ দুর্দশাও পোহাতে হয় সন্তানটিকেই বেশি। সারা জীবন জ্বলতে হয়। ভুল সন্তানরাই করে, শুধরে দেবার দায়িত্বটাও বাবা মা বা বড়দের উপরই থাকে। শুধরাতে না পারলেও সন্তানকেই দোষারোপ করে।  হ্যাঁ, তুই হেন তেন কিছুই বুঝিস না, বুঝলে আজ তোর সংসারের এমন অবস্থা হতো না। কিন্তু একটি বারও কেউ কি বুঝে যে, এই না বোঝার জন্যও কোনো না কোনোভাবে পরিবারই দায়ী। হয় তাকে স্বেচ্ছাচারী বানায়, নয় ভুল সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে তার চিন্তা চেতনা ও মনকে হত্যা করে। এটা কি হত্যা নয়? হ্যাঁ, এটা প্রথমত হত্যা। তারপর নানাভাবে জীবন জড়িয়ে যায় ভুলে ভুলে। আর দূর থেকে পরিবারের অন্য সবাই বুলি ছাড়েন। সে বুলি সহ্য করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে কঠিন। কারণ বিপদে মানুষ আপন জনদের ভালোবাসা চায়, বাঁচতে চায়।

কিন্তু কেউ কেউ একটু সহযোগিতা দিয়েও বিশাল বয়ান ছাড়ে যে তোকে দিতে দিতে আমরা শেষ হয়ে গেছি। আরেক ধরনের বাবা মা সন্তানের খোঁজ-খবর পর্যন্ত নিতে চান না, শুধু সময় মত চলাফেরার টাকা দিয়েই মুক্ত। না আছে কোনো অনুভূতি, না আছে কোনো কান্ডজ্ঞান। এমন বাপ-মায়ের সন্তানগুলো হয় জঘন্য। যারা না শোনে অন্যের কোনো কথা, না শোনে কোনো পরামর্শ। অন্যদিকে এমন লোকের সাথে থাকার জন্য তার পাশের মানুষটিকে সইতে হয় অমানসিক নীরব নির্যাতন! পাশের মানুষটিও তার অন্ধবিশ্বাসে নিজেই তলিয়ে যেতে থাকে। কারণ মানুষ চিনতেও কখনো বিরাট ভুল হয়। আর ভুল তো মানুষই করে। ভুল মানুষের হাত ধরা আরেকটি হাত শত চেষ্টায়ও তলিয়ে যেতে থাকে। অন্যেরা তা দেখে মজা লুটে। আর মনে মনে হয়তো বলে, বুঝুক, বোঝা দরকার! এই যে এতো এতো দোষ কোত্থেকে আসে একটা সন্তানের মাঝে? হুট করে তো আর আসে না। নিশ্চয় সঠিক শিক্ষার অভাবে। কেউ কেউ ভ্রু কোঁচকাবে। কিচ্ছু করার নেই। স্বেচ্ছাচারী সন্তান তৈরি করবেন, আর অন্যকে দোষারোপ করবেন তা তো হয় না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়