সৌরভ নূর : বাংলাদেশি অভিবাসীরা নিজেদের অজান্তেই একটু একটু করে বেহাল অবস্থার পরিবর্তন এনে দিয়েছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পশ্চিমের প্রান্তিক বাফেলো নগরীতে। শহরটি এক সময় ছিল মাদক বিক্রেতা ও বিভিন্ন রকম অপরাধের আখড়া। কয়েক দশক আগে এখানে বাংলাদেশিরা আসা শুরু করলেও গত এক দশকে সেটা স্রোতে পরিণত হয়েছে।
বাফেলোর অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে বাংলাদেশিদের রয়েছে বিশেষ অবদান। বাংলাদেশিদের আগমনে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের উন্নতি হয়েছে, সম্পত্তির দাম বেড়েছে, চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে অপরাধের মাত্রা কমেছে। এ ব্যপারে বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়সহ অন্যান্য কমিউনিটি এমনকি স্থানীয়দের কাছে এ পরির্বতন দৃশ্যমান এবং সর্বজনীন স্বীকৃত।
কয়েকবছর আগেও এখানকার অর্থনীতির চাকা এতটা গতিশীল ছিল না। গত ৩-৪ বছর থেকে বাফেলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে গতি পেয়েছে তার অন্যতম কারণ দক্ষিণ এশিয় কমিউনিটি। এখানে প্রায় ১৫-২০ হাজার বাংলাদেশির বসবাস। এর অধকিাংশই মিউচুয়াল রিয়েলস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা প্রসার বাড়াতে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে এবং বিভিন্ন রিটেল শপ।
গত এক যুগ ধরে বাফেলোতে বাংলাদেশি কমিউনিটি ক্রমান্বয়ে ব্যবসায় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাহিদার বিপরীতে তৈরি হয়েছে হালাল মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, ড্রাইভিং স্কুল, বাঙালি স্কুল, ফার্মেসি, এমনকী বারবার শপ যাদের অধিকাংশই এখানে নবাগত।
এছাড়া নিউইয়র্কের অন্যতম শক্ষিা প্রতষ্ঠিান ’ইউনির্ভাসিটি অফ বাফেলো’ এখানেই অবস্থিত। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ডিগ্রি নিতে যাওয়া শিক্ষানুরাগীদের কাছে এই প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে তীর্থস্থানের মতোই। বিদেশের মাটিতে নিজ ভাষাভাষীদের সংস্পর্শে থেকে সন্তানদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসতি গড়তে আগ্রহী হাজারো বাংলাদেশি নতুন করে ভিড় জমাচ্ছে এই শহরে। এর মধ্যদিয়েই প্রতিদিন বাফেলোর অর্থনীতিতে গতিশীল ভূমিকা রেখে চলেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এই ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির পারস্পরকি মলেবন্ধন ও তথ্য সেবা প্রদানরে প্রত্যয়ে নিউইয়র্ক থেকে সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ‘বাফেলো বাংলা’ প্রকাশ করা হয়।
প্রায় ৩ লাখ লোকের শহর বাফেলো আরাময়াশের কারণে অনেকের কাছে যাদুর শহর হিসেবে পরিচিত। নিউইয়র্ক থেকে ৩৭৫ মাইল দূরত্বে অবস্থতি বাফেলোর আয়তন ৫২ বর্গমাইল। তথ্য সূত্র - ইন্টারনেট
আপনার মতামত লিখুন :