শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরও ৮ বিদ্যুৎ প্রকল্প: উৎপাদন বাড়বে ১ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট

শাহীন চৌধুরী: দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ বিভাগ আরও ৮টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মিত হলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও ১ হাজার ৭৯৯ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পাবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২১ ও রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে এসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট।

নতুন গৃহীত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- নোয়াপাড়ায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাজীপুরে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, দাউদকান্দিতে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশালের কোড্ডায় ৩৬৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফেঞ্চুগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, মুন্সীগঞ্জের কমলাঘাটে ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, সিদ্ধিরগঞ্জে ৩৩৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র(গ্যাস টারবাইন)এবং সিদ্ধিরগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট সমন্বিত বিদ্যুৎকেন্দ্র (দ্বিতীয় ইউনিট)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন করেন।

সূত্রমতে, ২০০৯ সালের পর থেকে দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুত উৎপাদন হওয়ায় চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। বেড়েছে শিল্প কারখানার উৎপাদন। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দু’টি গ্রিড সাবস্টেশন ও ২১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ শুরু হওয়ায় চট্টগ্রামের গ্যাসভিত্তিক সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু হয়েছে।

এই সরকারের দুই মেয়াদে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৮১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিক ভাবে চালু হয়েছে। চট্টগ্রামে স্থাপিত ও নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে চলতি বছরের শেষের দিকে ২৬৭ মেগাওয়াট এবং ২০১৯ সালে প্রায় এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছেন বিপিডিবি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল) দেশব্যাপী ২ হাজার ৮৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। চট্টগ্রামে দুটি কেন্দ্র থেকে উৎপাদন করা যাবে দুই হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এছাড়া বোয়ালখালীতে ৮০০ মেগাওয়াট এবং মিরসরাইয়ে এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী নভেম্বর মাসে পটিয়ার জুলধা ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ১০৮ মেগাওয়াট, কোলাগাঁও ইউনিয়নের শিকলবাহা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১০৫ মেগাওয়াট এবং জডিয়াক পাওয়ার চট্টগ্রাম লিমিটেড থেকে ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০১৯ সালে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে জুলধা ২ নম্বর ইউনিট থেকে ১০৮, শিকলবাহার কর্ণফুলী পাওয়ার থেকে ১১০, আনলিমা এনার্জি থেকে ১১৬ এবং ইউনাইটেড পাওয়ার থেকে ৩৬০ মেগাওয়াট।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)-এর পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। আরো কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলছে। এসব কেন্দ্র উৎপাদনে গেলে ২০১৯ সালের মধ্যে আরও ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে। তিনি বলেন, চাহিদা কম থাকায় পুরো মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছেনা। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৩০২ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ১০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়