ওমর শাহ : চীনের অনুরোধ সত্ত্বেও গত বছর থাইল্যান্ডের কারাগার ভেঙ্গে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের পর গ্রেফতার করা উইঘুরের ১১ মুসলিমকে মুক্তি দিয়েছে মালয়েশিয়া।
তাদের আইনজীবী ফাহমি মঈন বলেন, মানবিক বিবেচনায় প্রসিকিউটররা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিবাসন সংক্রান্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলে মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর থেকে তারা তুরস্কে যায়। যদিও চীন উইঘুরের অধিবাসী এ ১১ মুসলিমকে মুক্তি না দিতে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ করেছিল। মালয়েশিয়ার এ সিদ্ধান্তে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরো খারাপ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছে।
২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেফতার হয় উইঘুরের ২শ’ মুসলিম। তাদের মধ্যে ১ শরও বেশি জনকে ২০১৫ সালের জুলাইতে জোর করে চীনে পাঠিয়ে দিলে বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। তবে থাইল্যান্ডের কারাগারের দেয়ালে গর্ত করে কম্বলকে মই বানিয়ে পালিয়ে তাদের মধ্যে উইঘুরের ১১ মুসলিম সীমান্ত অতিক্রম করে মালয়েশিয়া পৌঁছায়। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এসব উইঘুরদের ফিরিয়ে দিতে চীনের প্রবল চাপের মুখে রয়েছে মালয়েশিয়া। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ অবশ্য তাদের ফিরিয়ে না দিতে অনুরোধ জানিয়েছিল।
এ দিকে গত মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আগের প্রশাসনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাতিল করেছে। চীনের জিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমনাভিযান চালানোর জন্য বেইজিংকে অভিযুক্ত করে থাকে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, বেইজিংয়ের সরকার বরাবরই উইঘুরদের বিরুদ্ধে জিনজিয়াংয়ের সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধে হামলার জন্য দায়ী করে থাকে। চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি উইঘুরদের গ্রেফতার করে নির্যাতন এবং তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপরও চাপ প্রয়াগের অভিযোগ রয়েছে। তবে বেইজিং এ সব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। সূত্র: আল জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :