এ কে এম ওহিদুজ্জামান : জেলে যাবার কিছুদিন পরের ঘটনা। খুবই হ্যান্ডসাম একটি ছেলেকে আগের রাতে ১০টায় সেলে পাঠিয়েছে। কাস্টডিতে মারপিটের কারণে বেচারা কাহিল। আরিফ ভাই জিজ্ঞেস করলেনÑকি কেইস?
ছেলেটি জবাব দিলÑইয়াবা।
: খাও, না বেচো?
: খাইও না, বেচিও না।
: তাইলে?
: আমার গার্লফ্রেন্ডের বাবা পুলিশের ইন্সপেক্টর। ধরে সারারাত পিটিয়ে পকেটে ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান করে দিছে। আমার জামিন বাতিল করে যেদিন জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল, সেদিন আমার আগে আরো কয়েকজন আসামী ছিল। সবারই ড্রাগ কেস, সুনিদির্ষ্টভাবে, ইয়াবা। সবারই জামিন হয়েছিল। মজার বিষয় হচ্ছেÑএরা ভিন্ন ভিন্ন থানা থেকে এলেও এদের সবার আইনজীবী ছিলেন একই ব্যক্তি। কোর্টের গারদের ভেতরে ইয়াবা বিক্রি হতে দেখেছি, জেলের ভেতরেও ইয়াবা বিক্রি হতে দেখেছি। এখন ৫ গ্রাম ইয়াবা থাকলে মৃত্যুদ-ের শান্তি হবার আইন পাশ হয়েছে শুনলাম। কে যে এই আইনের কোপানলে পড়বে, আর কাকে যে এই আইন স্পর্শও করতে পারবে না, আল্লাহই জানে। ইয়াবা বহন করলে মৃত্যুদ-; ইয়াবার ব্যবসা করলে এমপি আর ইয়াবার ফ্যাক্টরি দিলে বাবার ১৩ বছরের কারাদ-ের রায় বাতিল! কাজেইÑইয়াবা বহন না করে, ইয়াবার ব্যবসা করুন বা ইয়াবার ফ্যাক্টরি দিন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :