ইমরুল শাহেদ : যৌন হয়রানি সংক্রান্ত ‘মি টু’ আন্দোলনের কোপানলে এবা পড়েছেন পরিচালক সাজিদ খান ও পরিচালক সুভাষ ঘাই। সাজিদ খানের বিরুদ্ধে শুধু যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হলেও সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। সাজিদ খান বলছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি নয়। তার বোন নৃত্য পরিচালক, পরিচালক ও উপস্থাপক ফারহা খান বলেছেন, অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে তিনি প্রতিকারের ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু সুভাষ ঘাই বলেছেন, তিনি অবশ্যই মানহানির মামলা করবেন। চাপের মুখে তিনি নির্মাণাধীন ছবি ‘হাউজফুল ৪’ থেকে পরিচালক সাজিদ খান সরে গেছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে আমার পরিবার, প্রযোজক এবং আমার ছবির তারকারা আমার উপর চাপ প্রয়োগ করছে। তাই নৈতিক দায়িত্ব থেকেই আমি এই ছবিটি পরিচালনা থেকে সরে যাচ্ছি। আমি ততদিন পর্যন্ত সরে থাকব যতদিন না সত্যটা প্রমাণ করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ সত্য বের হয়ে না আসা পর্যন্ত তারা যেন আমাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য না করেন।’
সাজিদ খানের যৌন হয়রানির অভিযোগটি প্রকাশ পাওয়ার পর ছবিটির তারকা অক্ষয় কুমার তাৎক্ষণিকভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো প্রমাণিত অপরাধীর সঙ্গে কাজ করব না। যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের সব অভিযোগ শোনা উচিত এবং তারা যাতে ন্যায় বিচার পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার রাতেই দেশে ফিরেছি। খবরগুলো পড়ে সত্যিই বিব্রত হয়েছি। আমি হাউজফুল ৪-এর প্রযোজককে বিষয়টা আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য শুটিং বাতিল করতে বলেছি। এটা এমন একটা বিষয় যার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
হাউজফুল ৪-এর পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে একজন মডেল, একজন অভিনেত্রী এবং একজন সাংবাদিক যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। এ ছবিটিতে অক্ষয় কুমার ছাড়াও হৃতেষ দেশমুখ, কৃতি সানন, পূজা হেজ এবং নানা পাটেকারও রয়েছেন।
এছাড়াও খলনায়ক ও তাল ছবির খ্যাতিমান নির্মাতা সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। একজন নারী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, সুভাষ ঘাই তাকে মদ পান করিয়ে তার উপর হামলা চালিয়েছেন। টুইটারে তিনি নাম ব্যবহার করেছেন মাহিমা কুকরেজা। তিনি এআইবির সাবেক সদস্য উৎসব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। সুভাষ ঘাই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, ‘কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা এখন ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গেছে।’
তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আমার সম্পর্কে কিছু কুৎসা হাওয়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। খ্যাতিমান লোকদের অতীত থেকে সত্য, অর্ধসত্য যদি হয়ে থাকে তা রটানো একটা ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো একেবারেই ভূয়া। এমন হলে আমি অবশ্যই মানহানির মামলা করব। ইয়ন, ডন
আপনার মতামত লিখুন :