নূর মাজিদ : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওপর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সংস্থাটির বিশ্লেষকদের ধারণা, বাণিজ্য যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ২ বছরেই এই পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে চীনের। এই পূর্বাভাসে আইএমএফ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের প্রবেশের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক বিবেচনায় নিয়েছে। এছাড়া, চীনা পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত সম্ভাব্য বাড়তি শুল্কারোপের প্রক্রিয়াকেও বিবেচনায় নিয়ে এই পূর্বাভাস দিয়েছে আইএফএম। তবে বাণিজ্য শুল্কের অধিকাংশ নেতিবাচক প্রভাব চীনা সরকারের গৃহীত প্রণোদনা নীতির কারণে অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুতর প্রভাব ফেলবে না বলে জানায় আইএফএম।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক চ্যাংইয়ং রিহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ মূলত চীনের অর্থনৈতিক বিকাশে খুব সামান্য প্রভাব ফেলবে। তবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে। বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক বিনিয়োগ বাজারও কিছুটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে বলেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চ্যাংইয়ং রিহ।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই বালিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আইএমএফ তাদের বাৎসরিক বৈঠক আয়োজন করেছে। এসময় রিহ বলেন, এসব কারণেই আমরা মনে করছি বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে চীনা অর্থনীতিতে প্রতিকূলতার হাওয়া বেশ সময় ধরেই অনুভূত হবে। তবে আমি মনে করি এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ব পুঁজিবাজার ব্যবস্থাপনা ও বাস্তব অর্থনীতির কার্যক্রমকে সমন্বয় করতে হবে। তবে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িত কোনোপক্ষই শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারবেনা বলেই তিনি মন্তব্য করেন। সিএনবিসি
আপনার মতামত লিখুন :