রফিক আহমেদ : বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আপত্তি অগ্রাহ্য করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা রেখে খসড়া প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ মজুরির খসড়া প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেন এবং এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামা ও দীপক রায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মজুরি বোর্ডের ৫ম বৈঠক শেষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরির প্রস্তাব সচিবালয় হতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর মুখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ৮ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। বাংলাদেশে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন এবং ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে আপত্তি পত্র দেন এবং তারা মজুরি বোর্ডকে এই প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য আহবন জানান। কিন্তু মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি বিবেচনা না করে গত ১১ অক্টোবর ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি রেখে খসড়া প্রজ্ঞাপন জারি করলেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের অভিভাবক। তিনি যেমন মালিকের সুবিধা অসুবিধা দেখবেন আবার শ্রমিকের দাবি দাওয়াও দেখবেন সমানভাবে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি রপ্তানি আয়ের ৮৩ ভাগ অর্জনকারী শ্রমিকরা বেঁচে থাকার জন্য দাবি করেছিল ১৬ হাজার টাকা। মালিকদের কথায় প্রধানমন্ত্রী উল্টে গেলেন তাদের দিকে। একইসাথে বিজেএমইএ এবং বিকেএমইএ এর যৌথ সভায় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বাড়তি খরচ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই কর্পোরেট ট্যাক্স এবং উৎস কর কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মজুরি বিষয়ে আপত্তি বা সুপারিশের জন্য যে ১৪ দিন ধার্য করা হয়েছে তাতে আবারও সংগঠনের পক্ষ থেকে আপত্তি ও সুপারিশ পত্র দেয়া হবে। সরকার ও মজুরি বোর্ড এই বিষয়ে বিবেচনা করবেন এবং ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি রেখে সকল গ্রেডের বেতন বৃদ্ধি করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :