ফয়সাল মেহেদী: বেড়েছে সব ধরণের মাছ ও মাংসের দর। কদর বেড়েছে ডিমের। কিন্তু চাহিদার সঙ্গে তালমিলিয়ে বাড়ছে ডিমের দরও। রাজধানীর অধিকাংশ খুচরা বাজারে এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা এবং ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দর পড়ছে ১০ টাকা। ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে ডিমের দর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
রাজধানীর মালিবাগের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সেলিম বলেন, খিলগাঁওয়ের পাইকারি বাজার থেকে ১০০ ডিম কিনতে হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৮ টাকা থেকে ৯ টাকা। পরিবহণ খরচ দিয়ে প্রতি পিস ডিম ১০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব নয়। ডিমের দর আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেছে, ৬ মাসের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারেই প্রতি পিস ডিমের দর বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা এবং হালিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। প্রতি ডজন লেয়ার মুরগির ডিম খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। আর পাইকারি দোকানে প্রতি ডজন ডিম ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এছাড়া ৩০ পিসের এক খাঁচি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে।
ডিম বিক্রেতারা জানান, একদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। অন্যদিকে গত রোববার থেকে সড়ক পরিবহণ আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে পণ্য পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। এতে ওইদিন ডজনপ্রতি ডিমের দর বাড়ে প্রায় ২০ টাকা। পরবর্তীতে কিছুটা কমলেও এখন আবার ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ১ হাজার ৬৯৪ কোটি ১৬ লাখ পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে দেশে। কিন্তু উৎপাদন হয় ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৩১ লাখ পিস। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বছরে ২০০ কোটি ৮৫ লাখ পিস ডিমের ঘাটতি রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :