নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার বলেছেন, আমরা একটা জোটে আছি। আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের কোন বিরোধ হয়নি, দূরত্ব হয়নি। গত নির্বাচনে আমরা যে জোট করেছিলাম এ বছর তা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সমৃদ্ধ হবে। জোটের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরন হবে। জোটে যে সিদ্ধান্ত হবে এবং যে মার্কা দেয়া হবে সেই মার্কা নিয়েই জোটের প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন।
জোট যদি থাকে তাহলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। আমরা যে জোটে থাকি, যেখানে থাকি, সেখানে আপনারা সবাই থাকবেন এবং আগামী নির্বাচনে জোটের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে সবাইকে জোটের সাথে থাকার আহবান জানান জাপা মহাসচিব। জাপা মহাসচিব বৃহস্পতিবার বিকেলে দুমকী উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
দুকমী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গেট চত্তরে আয়োজিত জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি সুলতান আহমেদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রত্না আমীন এমপি, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম মামুন ও জাপা চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
জাপা মহাসিচব বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে যা করেছেন তার ঋণশোধ করতে হবে। একশ বছরে যে লেবুখালী সেতু,পদ্মা সেতু হতো না তিনি তা নির্মাণ করে দিয়েছেন। দুমকীর জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই জনপদের শ্রেষ্ট সন্তান ছিলেন সাবেক মন্ত্রী এম কেরামত আলী সাহেব। তার কারনেই দুমকী আজ উপজেলা হয়েছে, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। দুমকীকে একটি মডেল উপজেলা করা হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মো.শাহাজাহন মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সবার কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারেন নি। তার হয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মো.শাহাজাহন মিয়া সকলের কাছে ভোট চেয়েছেন। তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন বলে জানান।
তিনি জানান, ২৭ বছর ধরে জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বাইরে। অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে জাতীয় পার্টি এ অবস্থানে এসেছে। দুটি বড় দলের ক্ষমতা জনগণ দেখেছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়ে তাদের শাসন দেখার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, বাউফলের সড়ক জাতীয় পার্টির আমলে নির্মিত হয়েছে। বরগুনাকে জেলা করা হয়েছে। কুয়াকাটার সড়ক নির্মাণ পল্লীবন্ধু এরশাদ করেছেন আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সড়কের কাজ সমাপ্ত করেছেন। মাঝে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা কোন উন্নয়ন করে নি বলে দাবি করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :