আসিফুজ্জামান পৃথিল : ৮ মাসের মধ্যে ওয়ালস্ট্রিটের বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ লোকসানের পর বৃহস্পতিবার ১৯ মাসের মধ্যে সবনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে এশিয়ার পুঁজিবাজার। সাবধানতা হিসেবে আপাতত বাজার থেকে দূরে থাকছেন এশিয়ান বিনিয়োগকারীরা। তারা এখন মার্কিন বিনিয়োগকারীদের তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
জাপানের বাইরে এশিয়া প্যাসিফিকের এমএসসিআই সূচক আন্তর্জাতিক সময় ভোর ৫টায় ৩.৮ শতাংশ পড়ে যায়। এটি ২০১৭ সালের মার্চের পর সর্বনি¤œ অবস্থান। এদিন ইউরোপের বাজারগুলোতেও দেখা দিয়েছে নি¤œমুখি প্রবণতা। বাজার খোলার প্রাক্কালে লন্ডনের এফটিএসসি সূচক ১.৪ শতাংশ পড়ে যায়। এসময় সূচকটির পয়েন্ট ছিলো ৭০৪৭। আর ফ্রাঙ্কফুটের ডাক্স সূচক বাজার চালুর প্রথম মূহুর্তে ১.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১১ হাজার ৫০১ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। প্যারিসের সিএসি সূচকও লেনদেনের প্রথম ঘন্টায় ২.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আইএমএফ প্রধান ক্রিশ্চিন ল্যাগার্দের একটি মন্তব্যের পরেই বাজারে পড়ে গেছে শেয়ার বিক্রির হিড়িক। বুধবার ল্যাগার্দে বলেছিলেন, ‘বিশ্বপুঁজিবাজারের মূল্যমান অত্যধিক বেশি।’ এরপরেই বাজার থেকে কয়েকশ বিলিয়ন ডলার ¯্রফে উবে গেছে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন আইএমএফ প্রধান। সমালোচকরা বলছেন, দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে ল্যাগার্দের এমন মন্তব্য শিশুসুলভ।
এদিন জাপানের নিক্কি এক ধাক্কায় ৩.৯ শতাংশ পড়ে গেছে, যা গত মার্চের পর সবচেয়ে বড় পতন। এদিকে বৃহত্তর টপিক্স সূচক ৩.৫ শতাংশ পড়েছে। ফলে বাজার থেকে চট করেই গায়েব হয়ে গেছে ২০ হাজার ৭০০ কোটি ডলার! সাংহাই-এর শেয়ারগুলো ৪.৯ শতাংশ দর হারিয়েছে। এটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর বাজারটির জন্য সবচাইতে নেতিবাচক দিন। আর চীনের ব্লু-চিপ শেয়ারগুলো ৪.৪ শতাংশ দর হারিয়েছে! তাইওয়ানের বাজার দর হারিয়েছে ৬.৩ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি দর হারিয়েছে ৩.৮ শতাংশ। রয়টার্স। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :