মতিনুজ্জামান মিটু: জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন বলেছেন, বিগত ১০ বছরে আমরা অনেক অলস হয়েছি। পায়ে হেটে চলিনা, প্যাডেল না করে ব্যাটারি দিয়ে গাড়ি চালাই। গতকাল ফার্মগেটের আ, ক. মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে ২০১৮ সালের মাসব্যাপী জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী ও জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০১৭ এর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অলসতার কারণে আমরা ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে পারবো না। যতই উন্নয়নের রোল মডেল হইনা কেন, ফসল রক্ষা করতে না পারলে পেটের ক্ষুধা মিটবেনা। পেটে ক্ষুধা আসলে সকল উন্নয়ন পিছিয়ে যাবে।
মকবুল হোসেন বলেন, ইঁদুরের শত্রু পেঁচা, গুইসাপ, বনবিড়াল, বেজি, শিয়াল ও বাজপাখীসহ বিভিন্ন পশু-পাখীর এদের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইঁদুরের উপদ্রব দিন দিন বাড়ছে। বন উজাড়সহ নানাবিধ কারণে আবাসস্থল নষ্ট হওয়ায় প্রতিকুল পরিবেশে এখন শিয়াল আর কুকুরের মধ্যে বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব হয়েছে। কবে না জানি বিড়াল আর ইঁদুরের মধ্যেও বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আগে বাড়ি বাড়ি ইঁদুরের শত্রু লক্ষিপেঁচা বাস করতো। যে বাড়িতে পেঁচা থাকতো সে বাড়িতে ইঁদুর আসতো না। আধুনিকতার ছোয়ায় ভেন্টিলেটার বন্ধ করে দেয়ায় এখন আর বাড়িতে পেঁচা থাকতে পারেনা।
বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, ইঁদুর তীক্ষè বুদ্ধির প্রাণি। সন্দেহ হলে তারা মিটিং করে বিষযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে। ইঁদুর নিধনে সকলে সচেতন হলে ব্যাপক ক্ষতির হাত হতে আমরা রক্ষা পাবো। ইঁদুরের উপদ্রবসহ আপদ বালাই রুখতে সকলকে একাট্টা হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ধান ক্ষেতের আইলগুলো উঠে দিয়ে কমিউিনিটি ফার্মিং করতে পারলে ইঁদুর নিধন কার্যক্রম আরো বেশি সফল হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে প্রশিক্ষিত রেট কিলার তৈরি করতে পারলেও ইঁদুরকে সহজে দমন করা যাবে।
কৃষি সম্প্রসার অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের(ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন। স্বাগত বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ অমিদাভ দাস।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কৃষি আয়োজক উইংয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া বেগম। জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্যে ‘ঘরের ইঁদুর , মাঠের ইঁদুর, ধ্বংস করে অন্ন, সবাই মিলে ইঁদুর মারি ফসল রক্ষার জন্য’। অভিযান উপলক্ষে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :