শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ মা হিসেবে পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়ে দেশের ইতিহাসে নাম লেখালেন অভিনেত্রী বাঁধন ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৫:৩৭ সকাল
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৫:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনোয়ার গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান ২৫০ কোটি টাকা’র ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে

আবু বকর : আনোয়ার গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান ২৫০ কোটি টাকা’র ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর দীর্ঘ তদন্তের পর প্রতিষ্ঠান তিনটি’র বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকির প্রমান পেয়েছে। পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে উপকরণ ক্রয় এবং বিক্রয়ের পরিমাণ এন্ট্রি না করে প্রতিষ্ঠান গুলো এই ভ্যাট ফাঁকি দেয়।
ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এএফএম আব্দুল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, তাঁর দপ্তরের পৃথক তিনটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকষ্মিক অভিযান চালিয়ে আনোয়ার গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র জব্দ করে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো, আনোয়ার স্টিল, আনোয়ার পলি এবং আনোয়ার সিমেন্ট। জব্দকৃত নথিপত্র পরীক্ষায় বড় ধরনের গরমিল পাওয়া যায়। কারখানার বাইরে গোপন স্থানে তথ্য সংরক্ষণ করে চালানবিহীন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে এই ফাঁকি দেয়া হয়। ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগের পরীক্ষায় বিশাল অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি বেরিয়ে আসে। প্রতিষ্ঠানগুলো এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) অফিসে তালিকাভুক্ত। একারণে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য নিরীক্ষা প্রতিবেদন এলটিইউতে পাঠানো হচ্ছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো’র কারখানা ও কর্পোরেট অফিস থেকে জব্দকৃত নথিপত্র পরীক্ষায় দেখা যায়, উপকরণ কিংবা উৎপাদিত পণ্যের কোনো হিসাবই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেনি। পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ও প্যাকেজিং সামগ্রী ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিপণন করা হয়েছে। উপকরণ ও উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে কিছু পণ্য সমাপনী জেরের কলামে লিপিবদ্ধ থাকলেও বাস্তবে কারখানা প্রাঙ্গণে কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যে সব উপকরণ কায়িক পরীক্ষায় কম পাওয়া যায় বা কারখানা প্রাঙ্গণে কায়িক পরীক্ষার সময় খুঁজে পাওয়া যায়নি, ওই সব উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে নির্ধারিত চালান ছাড়াই (মূসক-১১) বিক্রি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়