শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:২৯ রাত
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদালতসহ রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা, ব্যারিকেড-তল্লাশি

সুশান্ত সাহা : রাজধানীর পুরান ঢাকার পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত বিশেষ আদালতে আজ বুধবার আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের আদেশ হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল থেকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে।

সরেজমিনে কারাগারের আশেপাশের এলাকা দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য কড়া নজরে রেখেছেন কারাগার প্রাঙ্গণ। আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়েছে । তবে সাধারণ লোকজন যাতায়াত করতে পারলেও তাদের তল্লাশি করে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। কারারক্ষীরা কারাগারের মূল ফটকের বাইরে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও পুরান ঢাকা প্রবেশের মুখ চানখারপুল ও বকশীবাজার এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ও কাঁটাতারের ব্যারিকেড রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ঘিরে পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারের বিশেষ আদালত এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আদালত চলাকালীন এই বাড়তি নিরাপত্তা বলবৎ থাকবে।

এছাড়া, চাঁনখারপুল থেকে শুরু করে আশপাশের সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের প্রবেশে রয়েছে কড়াকড়ি, সন্দেহ হলেই পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তল্লাশি শেষে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি, শাহবাগ, ফার্মগেট, বকশিবাজার এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত ভবনের চারপাশে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েকশ নেতা–কর্মী। পরে মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছে। অপরদিকে খালাসের দাবি জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

পুরান ঢাকার ১ নম্বর অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আলোচিত এ মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে আরও ২০ জনের।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য রক্ষা পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

হামলার পরদিন ২২ আগস্ট মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।

২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ।

তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। ফলে এ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১ জন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়