লিহান লিমা: ১৯০১ সাল থেকে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের সম্মানে মোট ছয়টি বিষয়ে (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি) নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, শান্তি, রসায়ন ও অর্থনীতিতে অবদানের জন্য নোবেল জেতেন মোট ১২ জন ব্যক্তিত্ব। এদিকে সুইডিশ একাডেমির এক সদস্যের যৌন কেলেঙ্কারি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার কারণে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত করা হয়েছে।
১ অক্টোবর ক্যানসার গবেষণায় অবদানের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস অ্যালিসন এবং জাপানের কিয়েটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাসুকু হনজো। কীভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসারের চিকিৎসা করা যায় তা দেখিয়েছেন এই দুই গবেষক।
২ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিন, ফ্রান্সের জেরার্ড মোরউ এবং কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। আশকিনের আবিষ্কৃত ‘অপটিক্যাল টুইজারস’ এর মাধ্যমে ছোট ছোট কণা, পরমাণু, ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবন্ত কোষ শনাক্ত করা যাবে। জেরার্ড এবং ডোনা দুজনে মিলে আল্ট্রা শর্ট অপটিক্যাল পালস (মানুষের তৈরি সবচেয়ে ক্ষুদ্র ও ঘন লেজার পালস) উৎপাদনের সূত্র তৈরি করেছেন। তাদের এই আবিষ্কারের কৌশল প্রয়োগ করে চোখে সংশোধনযোগ্য অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হবে। এদের মধ্যে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড তৃতীয় নারী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন।
৫ অক্টোবর নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল জয়ী হিসেবে ধর্ষণকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ইয়াজিদি তরুণী নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর গাইনোকলজিস্ট ডেনিস মুকওয়েগেকে সম্মাননা জানায়। ১৯ বছর বয়সে আইএসএর যৌনদাসত্বের শিকার হওয়া নাদিয়া একসময় হয়ে উঠেন ইয়াজিদিদের মুক্তির প্রতিক। আর ডা. মুকওয়েগে হাজার হাজার ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা করেছেন।
৭ অক্টোবর রসায়ন শাস্ত্রে অবদানের জন্য নোবেল জেতেন মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড ও জর্জ পি স্মিথ এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার। তারা প্রাণিদেহের রসায়নঘটিত সমস্যা সমাধানে এনজাইমের বিবর্তনের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রোটিন উন্নয়নে কাজ করেছেন। এই তিন বিজ্ঞানীর যৌথ গবেষণা নতুন ওষুধ তৈরি ও সবুজ জ্বালানি তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড পঞ্চম নারী হিসেবে রসায়নে নোবেল জেতেন।
৮ অক্টোবর স্থিতিশীল অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল নিরুপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইয়ল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উইলিয়াম নর্ডহাউস ও নিউইয়র্কের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের পল রোমারকে অর্থনীতি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সংঘটিত অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়গুলো নিরুপণ করতে সমর্থ হয়েছেন নর্ডহাউস। আর রোমার খুঁজে বের করেছেন, কী করে অর্থনীতিবিদরা প্রবৃদ্ধির ধারাকে গতিশীল রাখতে পারেন। দু’জনের যৌথ মডেল পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের কৌশল দেখানো হয়। কোয়েটো
আপনার মতামত লিখুন :