শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর, ২০১৮, ০৮:৫৭ সকাল
আপডেট : ০৭ অক্টোবর, ২০১৮, ০৮:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শহিদুলের মুখ চেপে ধরা মুহূর্তের ছবি পেল আন্তর্জাতিক পুরস্কার

সুশান্ত সাহা : তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় গ্রেফতার করা হয় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে। তিনি যাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, সেজন্য তার মুখ চেপে ধরেছিলেন এক পুলিশ সদস্য। যে ছবিটি ‘ইন্টারন্যাশনাল ফটো অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ (আইপিএ)-এর ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই সময় একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম। পরে ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অপপ্রচার ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ করা হয়।

গত ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন গ্রেফতারের পর তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। কথা বলতে দেবে না বলে একজন পুলিশ সদস্য তার মুখ চেপে ধরেন। যে ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন প্রথম আলোর শুভ্র কান্তি দাস। এই ছবিটি এবার লুসি অ্যাওয়ার্ডের জন্য লড়বে।

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী পেশাদার, শৌখিন ও শিক্ষার্থী পর্যায়ের আলোকচিত্রীদের ছবি নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন থেকে যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফটো অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রথম পুরস্কার বিজয়ীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লুসি অ্যাওয়ার্ডের জন্য। লুসি অ্যাওয়ার্ডের গ্র্যান্ড বিজয়ীকে (ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার) দেওয়া হয় ১০ হাজার ডলার ও লুসি ট্রফি।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শৌখিন ও শিক্ষার্থী আলোকচিত্রীরা ‘ডিসকভারি অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে লড়েন, যার মূল্যমান পাঁচ হাজার ডলার ও লুসি ট্রফি। ছয়জন আলোকচিত্রী ‘ডিপার পার্সপেকটিভ ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে লড়েন, যেখানে বিজয়ী একজন পান পাঁচ হাজার ডলার ও লুসি ট্রফি।

এ ছাড়াও ছয়জন চলমান (ভিডিও) আলোকচিত্র ক্যাটাগরিতে (মুভিং ইমেজ ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার) লড়েন এবং চূড়ান্ত বিজয়ী পান ২ হাজার ৫০০ ডলার ও লুসি ট্রফি।

অলাভজনক প্রতিষ্ঠান লুসি ফাউন্ডেশন প্রতি বছর ইন্টারন্যাশনাল ফটো অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। প্রধান প্রধান ক্যাটাগরির চূড়ান্ত বিজয়ীরা লুসি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ২০১৮ সালে সম্মানসূচক পুরস্কার ‘হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ দিচ্ছে লুসি ফাউন্ডেশন। আগামী ২৮ অক্টোবর লুসি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। ওই দিন শহিদুল আলমের হাতেও ‘হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়ার কথা। যদিও তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়