লিহান লিমা: ১৯০১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১০৪ জন ব্যক্তি ও ২৭ টি প্রতিষ্ঠান নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্মাননা অর্জন করেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার গোটাবিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলেও এই পুরস্কার বারবার বিতর্কের শিকার হয়েছে। জিমি কার্টার, কফি আনান, দালাইলামা, এলি ওইসেল ও মাদার তেরেসার মত ব্যক্তিদের যেমন সম্মাননা জানানো হয়েছে ঠিক তেমনি বিতর্কিতদের হাতেও তুলে দেয়া হয়েছে শান্তির পদক।
২০১৭ সালে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা (আইসিএএন) নোবেল জেতে। বিশ্বমঞ্চকে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার উদাহরণ তৈরি না করেও জেতা এই পুরস্কার তীব্র সমালোচিত হয়।
২০১২ সালে ইউরোপে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও একত্রীকরণে অবদানের জন্য ইউরোপিয় ইউনিয়ন নোবেল পায়। ব্লকটির কয়েকটি দেশ ব্যাপকভাবে অস্ত্র নির্মাণ ও কেনাবেচার সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় এই পুরস্কার সমালোচিত হয়।
২০০৯ সালে প্রেসিডেন্সির মাত্র ৯ মাস পর বারাক ওবামা নোবেল পান যা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। তার প্রেসিডেন্সির মেয়াদকালীন ৮ বছরেই মার্কিন সেনাবাহিনী বিদেশে যুদ্ধরত ছিলো।
১৯৯১ সালে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সুচি নোবেল পুরস্কার পান। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যায় নীরব ভূমিকার জন্য সুচির নোবেল প্রত্যাহারের দাবি উঠলে নোবেল কমিটি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির অবস্থানের নিন্দা জানালেও তার পুরস্কার প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানায়।
১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়েতাজ রাবিন ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সায়মন পিরিস নোবেল পান। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষ প্রতিরোধে ব্যর্থতা ছাড়াও প্রথম ইন্তিফাদার সংঘর্ষের জন্য এই পুরস্কার সমালোচিত হয় ও নোবেল কমিটির সদস্য কার ক্রিস্টেনসেইন এই ইস্যুতে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৩ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের নোবেল পুরস্কার সব সময়ের জন্যই বিতর্কিত হয়ে আসছে। এমনকি নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনায়ন প্রস্তাবে কিছু পিলে চমকে দেয়া নামও উঠে এসেছিল। যার মধ্যে রয়েছে অ্যাডলফ হিটলার, বেনিতো মুসোলিনি ও জোসেফ স্ট্যালিনের মত যুদ্ধবাজরা। অন্যদিকে অন্যদিকে ১২ বার মনোনায়ন পেলেও মহাত্মা গান্ধী এই পুরস্কার পান নি। ২০০৬ সালে নোবেল কমিটি গান্ধীকে সম্মান জানাতে না পারাকে বৃহত্তর ব্যর্থতা আখ্যা দিয়েছে। ইন্ডিপেনডেন্ট, স্পুটনিক
আপনার মতামত লিখুন :