শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:১৫ সকাল
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংশোধনী আসছে আচরণবিধিতে

ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিধিমালায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, অনলাইন মনোনয়ন দাখিলের সুযোগ রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে বলে মনে করছে ইসির ‘আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি’।

এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। গতকাল ইসির ‘আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি’র সভায় তিনটি বিধিমালা পর্যালোচনা করা হয়েছে। নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর পর এবারে বিধিমালা সংস্কারের এই উদ্যোগ নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদে ইভিএম ও অনলাইন মনোনয়নপত্র চালু করে আরপিও সংস্কার এলে সংশ্লিষ্ট বিধিমালাগুলোতে সংশোধনী আনতে হবে। এ জন্য বিধি সংশ্লিষ্ট বিধানগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতেই এ উদ্যোগ। দশম সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগের আচরণ বিধিমালায় সংশোধন এনে গেজেট প্রকাশ করতে হয়েছে। বেশ তাড়াহুড়োয় কাজ ছিল সেবার। এবার আগাম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। আরপিও সংস্কার না হলে হয়তো কিছুই করতে হবে না। কিন্তু মূল নির্বাচনী আইনে সংশোধনী এলেই বিধিমালায়ও তা আনতে হবে। এ বিষয়ে ইসির ‘আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি’র সভাপতি নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম গতকাল বলেন, আমরা তিনটি বিধিমালা নিয়ে সংশোধন সংক্রান্ত পর্যালোচনা করছি। প্রথম বৈঠক করেছি; আরও বৈঠক হবে। কী কী বিষয়ে সংশোধনী আসছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, আচরণবিধি সংশোধনীর প্রাথমিক খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আসতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি বা সদস্য পদে থাকতে পারবেন না। অন্যটি হচ্ছে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের জন্য জেল-জরিমানা ছাড়া ইসির কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবে। সেই সঙ্গে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হওয়ায় এমপিরা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে এ জন্য কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে মন্ত্রী-সাংসদদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ন্ত্রণ করে আচরণবিধি করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়কে ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়। দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে।

এ জন্য এবারে এমপিরা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন এ জন্য কিছু বিধি-নিষেধ আনা হতে পারে। বিদ্যমান আচরণবিধিতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধান হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়রকে ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাদের আচরণবিধি মেনে প্রচারণায় অংশ নিতে হবে। সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উন্মোচন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ডেও যোগ দিতে পারবেন না। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির রয়েছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়