শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:১৩ সকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুলনায় সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন

শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা : কর্মরত কলেজে যোগদানের তারিখ থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা, রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের তারিখ থেকে পে-স্কেল অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতাদি প্রদান করা ও ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরীর শিববাড়ির মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করে খুলনা বিভাগের সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।এ মানববন্ধনে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন সরকারি কলেজ থেকে আগত বেসরকারি কর্মচারীরা উপস্থতি হয়ে স্ব স্ব কলেজের ব্যানারে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে সমবেত হন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগের সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি লিটন দত্ত। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক- মো: মুকাব্বের ফকির, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: সোহেল হোসেন, সহ সভাপতি মো: আরিফুর রহমান, প্রচার সম্পাদক- আব্দুল আউয়াল।

বক্তারা বলেন, প্রতিটি কলেজে আমরাই সকাল ৭ টায় গিয়ে কলেজ প্রাঙ্গন, ক্লাসরুম, অফিস, বিভাগ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করি, আমরাই কলেজের তালা খুলি আবার আমরাই বন্ধ করি ও কলেজটিতে রাতজাগা প্রহরী হয়ে দেখাশুনা করছি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কলেজ প্রশাসনকে সাহায্য করে চলেছি। বর্তমানে প্রতিটি সরকারি কলেজের সরকারি কর্মচারীর চেয়ে বেসরকারি কর্মচারীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশী। স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত পরিপত্র মোতাবেক প্রয়োজন অনুযায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দান করছে নামমাত্র মজুরিতে (যা স্কেল অনুযায়ী নয়)। আমরা সরকারি কলেজে চাকরি করি, সরকারি সমস্ত দায়িত্ব পালন করি অথচ আমরা বেসরকারি।

আমাদেরকে সরকারের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি, বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, ধোলাই ভাতা, টিফিন ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয় না।এ কারণে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বর্তমান এ বাজারে বাড়ি ভাড়া, সাংসারিক ব্যয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যয়ভার বহন করতে পারছি না। আমাদের চলতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা বর্তমানে অনাহারে দিনানিপাত করছি। সরকারি কলেজে আমাদের বেসরকারি চাকরিকাল কারো ২০ বছর, কারো ১৫ বছর, কারো ১০ বছর অথবা এর কম বা বেশি। আমাদের অনেকেরই বয়স ৩০ এর অধিক। এ জন্য আমাদের বিষয়টি মানবিক কারণে বিবেচনা করে প্রয়োজনে স্ব স্ব সরকারি কলেজে পদ সৃষ্টি করে হোক কিংবা শূণ্য পদে হোক কিংবা ভেটোনারি পদ সৃষ্টি করে হোক আমাদের চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হতে রাজস্ব খাতভুক্ত করার জন্য, চাকুরিতে যোগদানের তারিখ হতে পে-স্কেল অনুযায়ী বকেয়া ভাতাদি প্রদান করতে এবং ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়